শেয়ারবাজারে থামছে না দরপতন, হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিন যত যাচ্ছে তত খাদের মধ্যে পতিত হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। ধারাবাহিক দরপতনে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। অব্যাহত পতনের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে লেনদেন খরাও দেখা দিয়েছে। ফলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের হতাশা বেড়েই চলেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা দিলেও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পতনের পাল্লা ভারি হয়েছে।
রোববারের মতো সোমবারও (২৫ নভেম্বর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। এভাবে উত্থানের মধ্যে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সূচক ঘুরপাক খাচ্ছিল। এরপর কিছুটা পতনের পর আবার উত্থানে লেনদেন হতে থাকে। তবে দুপুর ২টার দিকে বাজার আবার পতনে নেমে যায়। এই পতন প্রবণতা থেকে আর উত্থানে ফিরতে পারেনি শেয়ারবাজার। পতনেই শেষ হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
আজকের দিনসহ শেষ তিন কর্মদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই শেষ তিন কর্মদিবস পতনে নতুন করে শেয়ারবাজার থেকে ১০৯ পয়েন্ট হারিয়েছে। আর বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাজারের এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা এখন নির্বিকার। বাজারের এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা সরকারের প্রতি বাজারকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানান।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন সেগুলোর বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। দিন দিন বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হয়ে যাচ্ছেন। শেয়ারবাজার শুরু বিনিয়োগকারীদের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটা দেশের অর্থনীতিরও একটা বড় অংশ। তাই বাজারকে স্থিতিশীলতায় ফিরাতে হবে। যে কোনো মূল্যে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০.৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৩.১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০২ কোটি ৫ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪৮টির বা ৩৭.৫৬ শতাংশের, কমেছে ১৬৩টির বা ৪১.৩৭ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৮৩টির বা ২১.০৬ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১০৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৩টির।এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে।
বিএসসি চেয়ারম্যান কে পরিবর্তন করতেছে না কেন ??
অন্যান্য জায়গায় পরিবর্তন করতেছেন খারাপ করলে
এখানে কেন করতেছেন না???
অবশ্যই সবার মনে প্রশ্ন আসবে এখন অন্য কোন সুবিধা আছে কিনা??
যারা বড় বড় লেকচার দেয় তারা কোথায় ?শেয়ার বাজার নিয়ে কিছু বলেন।