আজ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি শুরু, ১৪ মাসের সংঘাত থামলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় অবশেষে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১৪ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত আপাতত থামলো। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪টা থেকে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায়) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

চুক্তি অনুযায়ী, ৬০ দিনের অন্তর্বর্তী সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেখানে লেবাননের সরকারি বাহিনী পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করবে। লিটানি নদীর দক্ষিণে তারা অবস্থান নেবেন। এর মধ্যে থাকছে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের ৩৩টি চৌকি। হিজবুল্লাহর সদস্যরা দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে যাবে এবং সেখান থেকে তাদের সব সামরিক অবকাঠামো সরিয়ে ফেলা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র মূল চুক্তির পাশাপাশি আলাদা করে একটি চিঠি যুক্ত করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে ইসরায়েলের পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিনই এই হামলার পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল, যার মাধ্যমে গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।

হামাসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেদিন থেকেই ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তাদের এসব হামলার ফলে ৬০ হাজার ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সেপ্টেম্বরে লেবাননে আকাশ ও স্থল হামলার তীব্রতা বাড়ায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের হাতে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার ৭০০ মানুষ।

দক্ষিণ লেবানন এখনো নিরাপদ নয়

আইডিএফের আরবিভাষী মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই হুশিয়ারি দেন, যুদ্ধবিরতি চালু হলেও এখনো দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে বেসামরিক ব্যক্তিদের ফিরে আসা নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে এবং এর শর্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন অংশে এখনো আইডিএফের সেনারা অবস্থান করছে। আইডিএফ যেসব গ্রাম ছেড়ে গেছে, সেখানে ফিরে যাবেন না। ওই এলাকায় আইডিএফের সদস্যদের দিকে এগিয়ে যাবেন না। আপনাদের নিজেদের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ওইসব এলাকায় যাবেন না।

তিনি বলেন, যখন নিরাপদে ফিরে যাওয়ার সময় হবে, আমরা আপনাদেরকে তা জানাবো।

মঙ্গলবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বাস্তবায়ন হওয়া ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির ‘ভালো খবরকে’ স্বাগত জানান। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াও গতি পাবে।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তাদের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

হোয়াইট হাউসের রোস গার্ডেন থেকে বক্তব্য দেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমার কাছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কিছু ভালো খবর আছে। আমি ইসরায়েল ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি, তাদের সরকার ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান ভয়াবহ সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.