আজ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

দরপতন চলছেই, ফের তিনশ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছুতেই দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের পাল্লা ভারী হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে প্রধান মূল্যসূচক সামান্য বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দাম কমার তালিকয় নাম লেখায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তার আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেনের দুই ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু এরপর বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৪৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯১১ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমে আবার তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৭৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৮ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমারেল্ড অয়েয়ের ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেনেক্স ইনফোসিস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, অগ্নি সিস্টেম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং আইসিবি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয় ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

১ টি মতামত “দরপতন চলছেই, ফের তিনশ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন”

  • Md DELOWER Hossain says:

    বিএসসি চেয়ারম্যানের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মুন্ন এগ্রো এর শেয়ারের দর প্রায় প্রায় ০৬% কমেছে।

    স্টক ডিভিডেন্ট এর অনুমতি দিতে রেকর্ড ডেট পর্যন্ত যেতে হবে কেন???
    এতে বিনিয়োগকারীরা ধোঁয়াশার মধ্যে থাকে।
    এতে কার ক্ষতি??
    এক মাস আগে স্টক ডিভিডেন্ড ডিক্লিয়ার করার পরেও এক মাসে কি সময় পাওয়া যায় না অনুমতি দিবে কি দিবে না বিএসসি ???

    এতে প্রমাণিত হয় আগের চেয়ারম্যান আর বর্তমান চেয়ারম্যানের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।
    এরা একই জাতের মানুষ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.