আজ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

২০ জানুয়ারির মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘গুরুতর পরিণতি’ হবে: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশের আগেই গাজায় হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিদের মুক্তি দেখতে চান তিনি। অন্যথায় ‘গুরুতর পরিণত’ হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমি আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই যদি গাজায় জিম্মিদের মুক্ত না দেওয়া হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে এবং মানবতার বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতার জন্য দায়ীদের গুরুতর সমস্যা হবে।”

পোস্টে তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ও বহুতল ইতিহাসে যে কেউ আঘাত করেছে তার চেয়ে দায়ীদেরকে আরও বেশি আঘাত করা হবে। এখনই জিম্মিদের মুক্তি দিন!”

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে নিহত হন ১ হাজার ২০৮ জন। হামাসের হাতে জিম্মি হন আরও ২৫১ জন। তাদের অনেকেই মারা গেছেন। কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের ধারণা, গাজায় বর্তমানে ১০১ জন ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে প্রায় ১৪ মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলির নির্বিচার হামলায় গাজায় ইতিমধ্যে ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজা উপক্যতাকে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দীর্ঘদিন থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং জিম্মি ও বন্দীদের অদলবদল করতে সম্মত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে সম্ভাব্য চুক্তিতে বাধা দিয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেন যে, নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চান, নিজের স্বার্থকে দেশের স্বার্থের ঊর্ধ্বে রেখে।

ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের সময় ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের মতো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এ ঘটনা ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করেছিল। কারণ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.