আইসিবি’র তিন হাজার কোটি টাকা ঋণের সুদ ৪ শতাংশে নির্ধারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও ঋণশোধের জন্য সরকারি গ্যারান্টির বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবি-কে (ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ)-কে ১০ শতাংশ সুদে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছিল।
কিন্তু ১০ শতাংশ সুদ উচ্চহার বলে অভিহিত করে আপত্তি জানিয়েছে আইসিবি। ঋণের সুদ ৪ শতাংশে নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে গত ২৮ নভেম্বর চিঠি দিয়েছিল আইসিবি।
এর প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) অনুমোদন দেওয়া তিন হাজার কোটি টাকার সুদ ৪ শতাংশ হারে নির্ধারণ করার আইসিবি’র প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর চান দেশের শেয়ারবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। সেজন্য তিনি ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করার প্রস্তাব আইসিবি’র অনুমোদন করেছেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারি নিশ্চয়তা বা সভরেন গ্যারান্টি প্রদান করে। সেই সভরেন গ্যারান্টির বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে।
এরপর ২৭ নভেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিবিকে তিন হাজার টাকার ঋণের চিঠি প্রেরণ করে। চিঠিতে ঋণের সুদহার ধার্য্য করা হয় ১০ শতাংশ। ঋণের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় দেড় বছর।
কিন্তু চড়া সুদে দেড় বছরের জন্য ঋণ নিয়ে আইসিবির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে মনে করেছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ জন্য তাঁরা সুদ কমানোর জন্য পরের দিন ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠায়।
আইসিবিকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছিল, ওই ঋণ নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে আইসিবি। এই টাকা তারা শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও উচ্চ সুদে নেওয়া তহবিল পরিশোধে ব্যবহার করবে। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইসিবির অনুকূলে দেওয়া তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ বা ঋণের ওপর আরোপিত সুদ বা সুদাসল পরিশোধে আইসিবি ব্যর্থ হলে সরকার তা পরিশোধ করবে।