দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন জারির কয়েক ঘন্টা পরই প্রত্যাহার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডন্ট ইউন সুক ইওল একটি সামরিক আইন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রত্যাহার করেছে।
সামরিক আইন ঘোষণার দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে, সংসদ সদস্যরা জাতীয় পরিষদে জড়ো হয়ে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
হঠাৎ সামরিক শাসন প্রবর্তনের প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা এখন একইভাবে হঠাৎ পরিবর্তন উদযাপন করছে। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সামরিক আইন ঘোষণা করেন।
ইউন সুক-ইওল বলেন, “আমি উত্তরের কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়ার প্রজাতন্ত্র রক্ষা, জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ লুণ্ঠনকারী ঘৃণ্য উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল এবং স্বাধীন সাংবিধানিক সুরক্ষার জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “উদার সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশ থেকে উত্তর কোরিয়াপন্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সামরিক আইন জারি করা ছাড়া তার কাছে বিকল্প কোনো পথ ছিল না।”
তবে এই বিষয়ে কী ধরনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ভাষণে বলেননি তিনি।
মূলত দেশটির শীর্ষস্থানীয় কিছু সরকারি প্রসিকিউটরকে অভিশংসন এবং সরকারি বাজেট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির একটি প্রস্তাব সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়েছে। এই প্রস্তাবে বিরোধীদের সমর্থনের পর তাদের উত্তর কোরিয়াপন্থী হিসেবে আখ্যা দিয়ে নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।