আজ: বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিদেশি বিনিয়োগের তথ্যে গরমিল

নিউজ ডেস্ক: চার বছরে ৫৭০ কোটি ডলারের নেট বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যের তথ্যে এ গরমিল দেখায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে নেট এফডিআই হিসাবে ৫৮৬ কোটি ডলার পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সেটি বাড়িয়ে ১ হাজার ১৫৬ কোটি ডলার দেখানো হয়েছিলো।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬ নির্দেশিকা অনুসারে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ অর্থবছরের তথ্য সংশোধন করার পরে তথ্যের অসামঞ্জস্যতা সামনে এসেছে। আগের তথ্যের উপর আইএমএফ থেকে একটি পর্যবেক্ষণ ছিল বলে আমরা তথ্য সংশোধন করেছি। তথ্য সংশোধনের কারণে এফডিআই প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।

এদিকে সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক ইচ্ছায় ব্যাংক আইন পরিবর্তন হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নীতিমালাও পরিবর্তন করা হয়। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা তাদের দায়িত্ব পালন করেননি।

এতে আরও বলা হয়, এমনকি অভ্যন্তরীণ ও বহির্নিরীক্ষক যথাযথ ভূমিকা রাখেনি।

নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। সবমিলিয়ে গত দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে, ফলে খাতটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ১০টি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে। এর মধ্যে দুটি সরকারি ব্যাংক ও ৮টি বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের বেশিরভাগ শরিয়াহভিত্তিক। এই ১০ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পুরো খাতের ৩৩ শতাংশ ঋণ আর ৩২ শতাংশ আমানত।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, এসব ব্যাংক কারিগরিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং তাদের তারল্য নেই। তবে তা তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়নি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.