আজ: বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

হঠাৎ সিদ্ধান্ত; দায়টা কি শুধু বিনিয়োগকারীদের?

মাহবুবা ইসলাম : সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪টি কোম্পানির মধ্যে ২০৬টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। স্টকনাও সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ২ টাকা ৯০ পয়সা ৯.৭৬ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।

এদিকে গত সপ্তাহে টানা তিন কার্যদিবস কোম্পানিটির দর ২৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা ৮০ পর্যন্ত ওঠে। কোম্পানিটি গত নভেম্বর থেকে ধারাবাহিক দরপতনে থাকায় বিনিয়োগকারীরা প্রায় নিঃস্ব। তাই দরে কিছুটা উর্ধ্বগতি দেখে অনেকেই আবার লোকসান সমন্বয়ের আশায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু লেনদেন শেষ হওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেলা আনুমানিক ২.৫৫ মিনিটে ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটিকে ‘জেড ক্যাটাগরিতে’ স্থানান্তরের নিউজটি প্রকাশ করা হয়। এরপর থেক টানা দুই কার্যদিবস ধরে সর্বোচ্চ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষ রয়েছে কোম্পানিটি। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বিএসইসি কোম্পানিকে শাস্তির আওতায় আনুক। কিন্তু তা না করে বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করছে। গত ছয় মাস কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ। এ বিষয়ে বিএসইসি বা ডিএসই কতৃপক্ষ জানেই না। আর ছয় মাস পর যখন টনক নড়ল তখনই তড়িৎ গতিতে সিদ্ধান্ত নিলো ক্যাটাগরি পরিবর্তনের। এ যেন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চড়ালো।

এদিকে কোম্পানিতে যোগাযোগ করলে কোম্পানির দায়িত্বশীল পদে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, বছর শেষের দিকে থাকলে এ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষনা কিংবা এজিএম সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কিছুই সম্পর্কে এখন ও পর্যন্ত বলতে পারছেন না। কেন বিনিয়োগকারীদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়া হলো এ প্রশ্নের জবাবে নিছক উত্তর আমরা কাউকে ডেকে আনিনি কিংবা আমাদের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলিনি। দীর্ঘ দিন পর পর্ষদ পুনরায় গঠনের পর চমকপ্রদ ডিভিডেন্ড দয়া ও ইপএস দেখানো কোম্পানি রাতারাতি ধসে পড়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্যাস সংকটের কারনে কোম্পানিটি ঠিকমতো উৎপাদন করতে পারছিলো না। তাই পুনরায় উৎপাদন চালুর জন্য (গ্যাস সমস্যা সমাধানে) বিকল্প হিসেবে বয়লার বসানোর জন্য আনা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ বসানো হবে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন নি তিনি।

বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যারা এ শেয়ারটি নিয়ে ফায়দা লুটে নিলো তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মধ্যখানে বলির পাঠা হলাম আমরা। তাছাড়া এ চেয়ারম্যান আসার পর থেকেই যুগোপযোগী কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেনি। তারা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বাঁধেন। হযতো তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। কিন্তু আশায় গুঁড়েবালি। তারা বলেন, শেয়ারবাজার ঝুঁকিপূর্ণ। না জেনে শুনে বিনিয়োগ করলে ক্ষতির কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমরা তো বিনিয়োগ করেছি কোম্পানির পারফরম্যান্স দেখে। তারপরও কি বলবেন এ দায়টা শুধু আমাদের?

 

 

১১ উত্তর “হঠাৎ সিদ্ধান্ত; দায়টা কি শুধু বিনিয়োগকারীদের?”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.