পুঁজিবাজারে আসতে আরও দুই বছর সময় পেল সীমান্ত ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আরো দুই বছর সময় পেল সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাংকটিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ব্যাংকিং লাইসেন্স অনুযায়ী, কোন ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিধান রয়েছে। বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সীমান্ত ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে ৯ অক্টোবর ২০১৬ সালে। ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ব্যাংকটি। পরবর্তীতে উদ্যোক্তাদের আরো ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা প্রদান করে। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে আরো ১০০ কোটি টাকা সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ করে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
সিকিউরিটিজ আইন আনুযায়ী, মূলধন উত্তোলনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে কোন কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে না। আইনের বিধান ও বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় তালিকাভুক্তির জন্য সীমান্ত ব্যাংককে বিভিন্ন মেয়াদে সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সীমান্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, আইপিওতে যাবার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে ব্যাংকটি। ইতিমধ্যে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যাংকটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যাংকটি। বর্তমানে ৩২টি শাখা-উপশাখা, ২৮টি এটিএম স্থাপনের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারাদেশে ব্যাংকটি বিজিবি সদস্যসহ সর্বসাধারণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
শেয়ারবাজার নিউজ ডটকম / কে.এইচ