আজ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

আসাদের পতনের পরপরই গোলান মালভূমিতে ভূমি দখল করলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির একটি বড় অংশ দখল করেছে ইসরায়েল। অঞ্চলটির পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র অভিযানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পরপরই এই পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গোলান মালভূমির বাফার জোনে প্রবেশ করেছে তাদের বাহিনী। ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী অঞ্চলটিতে এই বাফার জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।

নেতানিয়াহু বলেন, পুরোনো ওই চুক্তি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরীয় সেনারা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে যাওয়ায় আমরা বাধ্য হয়েছি এমন পদক্ষেপ নিতে। তিনি বলেন, আমাদের সীমানায় কোনো শত্রু শক্তির উপস্থিতি আমরা বরদাশত করবো না।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমির একটি অংশ দখল করে এবং পরে তা সংযুক্ত করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি বিশ্ব এটিকে অবৈধ দখলকৃত ভূমি হিসেবেই বিবেচনা করে।

এলাকাটি দখলের পর রোববার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিরিয়ার ওপানিয়া, কুনেইত্রা, আল-হামিদিয়া, সামদানিয়া আল-ঘারবিয়া এবং আল-কাহতানিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্দেশে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে। কর্নেল আবিচাই আদ্রেয়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, আপনার এলাকায় সংঘাতের কারণে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে আপনাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য আমাদের নেই।

এদিকে, গোলান মালভূমির দখলকৃত অংশের কৃষি এলাকাগুলো সামরিক অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং কিছু স্কুল অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির বিমান বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও দামেস্কে কথিত অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ক্যানের খবরে বলা হয়েছে, আমরা দক্ষিণ সিরিয়া ও দামেস্ক বিমানবন্দরে গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছি। কারণ সেগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পড়ার আশঙ্কা ছিল।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, দামেস্কের কাফর সউসা এলাকায় সামরিক ও কাস্টমস সদর দপ্তরে হামলার ফলে সেখানে আগুন ধরে যায়। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই নিরাপত্তা কমপ্লেক্সে ইসরায়েলই হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েল নিয়মিতভাবে সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহ ও ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের কাছে উন্নত অস্ত্র পৌঁছানোর আশঙ্কা থেকেই তারা এসব অভিযান পরিচালনা করছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.