আজ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সেখানে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি অবমাননা করে।

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার পর ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে এবং এই হামলাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার এই ঘটনা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে। সেখানে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। এবং ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামলার সেই ঘটনা এবং বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে (ভারত থেকে) ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য সম্পর্কে আপনার কোনও মন্তব্য আছে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে— বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মধ্যকার বিবাদমান মতপার্থক্য দূর করবে। তার ভাষায়, “দেখুন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করুক, এটিই আমরা দেখতে চাই।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত নিপীড়নের নিন্দা এবং ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি দাবির নামে সেখানে তাণ্ডব চালায়।

আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের ব্যানারেই সেখানে হামলা ও তাণ্ডবের সময় এই ভাঙচুর ও হাইকমিশন অফিসের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।

মূলত বিক্ষোভের নামে হাইকমিশনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে একপর্যায়ে ওই গ্রুপের কিছু সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপমান করে।

এই ঘটনায় এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগরতলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

একইসঙ্গে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার এই ঘটনাকে ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.