সন্ধ্যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে হারতে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি সফরের আগে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচে বিজয়ী ছিল টাইগাররা। সর্বশেষ সিরিজ হেরেছিল ১০ বছর আগে।
সেই উড়ন্ত থাকা বাংলাদেশের এবার কী হলো যে, এবারের সফরে গিয়ে ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কায় পড়তে হলো তাদের?
ক্যারিবীয় অঞ্চলে এবারের সফরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, লড়াইটাও করতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আগের দুই ম্যাচে যেভাবে খেলেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে; ধলবধোলাই এড়ানোর সম্ভাবনাও কম বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের খেলায় অভিজ্ঞতার কিছু্টা অভাব লক্ষ্য করা গেছে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর অভাব ভালোভাবে কাটিয়ে তুলতে পারেনি মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল। তবে কোনো ক্রিকেটারই চিরদিন দলে থাকবে। চরম বাস্তবতা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে, এমন মানসিকতা তৈরি করতে হবে টাইগারদের।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গেল দুই ম্যাচের মতো সিরিজের ফাইনালও হবে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে। ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে বাঁচতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে মিরাজের দলকে।
একে অপরকে ধবলধোলাই করার পরিসংখ্যানে দুদলই সমানে সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশকে মোট ৩ বার ধবলধোলাই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দেরও সমান ৩ বার ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে খেলতে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে দিন বদল হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে তাদেরকেই ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডেতে ধবলধোলাই করে আসে টাইগাররা।
এরপর ২০১৪ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আতিথেয়তায় খেলতে এসে ক্যারিবীয়রা সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে।
সর্বশেষ দুই সিরিজ; ২০২০ সালে (দেশের মাটিতে) ও ২০২২ সালে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে) ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশেল লজ্জা দেয় টাইগাররা।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চতুর্থ ধবলধোলাই এড়াতে হলে ভালো করতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। সেক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে হবে টপঅর্ডার ব্যাটার তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজদের।
পাশাপাশি বোলিংয়ে ধার বাড়াতে হবে তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাদের।