আজ: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

ওয়াইজ স্টারের কাছে রিং শাইনের শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রিং শাইন টেক্সটাইল ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলের সাথে শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল করেছে।

কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত রোববার এক কোম্পানির বৈঠকে শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল করা হয়।

বিবৃতিতে রিং শাইন ব্যাখ্যা করে বলেছে, স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য চুক্তির অবসান প্রয়োজন ছিল। চুক্তি বাতিলের প্রাথমিক কারণ হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য চুক্তিকে ঘিরে বিতর্কিত কার্যক্রম উল্লেখ করেছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস এবং পাঁচটি সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কোম্পানিকে রিং শাইনের ৩৮ শতাংশ শেয়ার কেনার অনুমতি দেয়। যে শেয়ারগুলো স্পনসর-পরিচালকদের কাছে ছিল।

পরে সেই বছরের সেপ্টেম্বরে রিং শাইন এর পরিচালনা পর্ষদ ওয়াইজ স্টার এবং এর সহযোগীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

রিং শাইন-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, কোম্পানির বর্তমান বোর্ড সম্ভাব্য মালিকদের সম্পর্কে বিএসইসিকে তাদের মতামত জানিয়েছে যাতে টেকওভারের পরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে রিং শাইনকে জবাবদিহি করতে না হয়।

রিং শাইন এর বর্তমান বোর্ড দেখেছে, ২০২১ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াইজ স্টারের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কোনো রেকর্ড নেই। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ২০ হাজার টাকা এবং অনুমোদিত মূলধন ৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে রিং শাইন ১৯৯৮ সাল থেকে সর্বদা সক্রিয় কার্যক্রমে রয়েছে এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা।

বিশাল পরিশোধিত মূলধনের রিং শাইন এর পরিচালকদের মনে সন্দেহ তৈরি করেছে এবং রিং শাইন এর কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য ওয়াইজ স্টারের আর্থিক শক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

২০১৯ সালে শেয়ারবাজার থেকে রিং শাইন ১৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত হয়। করোনা মহামারীর মধ্যে বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে এর রপ্তানি আদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় কোম্পানিটি সমস্যায় পড়ে যায়।

এরপর বিএসইসি অনুসন্ধানে দেখতে পায়, কোম্পানিটি ১১ স্পন্সর ডিরেক্টর এবং ৩৩ প্রাক-আইপিও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে কোনো অর্থ প্রদান না করেই শেয়ার ইস্যু করেছে। কমিশন আরও দেখতে পায়, প্রি-আইপিও শেয়ারহোল্ডারদের কমপক্ষে ৫২ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গেছে।

সম্প্রতি চলতি বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর মূল মালিকরা কোম্পানিতে ফিরে এসেছেন এবং ওয়াইজ স্টার ও অন্যান্য সহযোগিদের সঙ্গে অসামাঞ্জস্য এই চুক্তি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.