আশা জাগিয়ে ফের ধপাস পুঁজিবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পতনের পর শেষ দুই কর্মদিবস বড় উত্থান হয় শেয়ারবাজারে। এতে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়ে। এতে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী ছিল, তবে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আবার পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। মূলত মুনাফা তোলার চাপে উঠে দাঁড়াতে পারেনি শেয়ারবাজার। ফলে আশা জাগিয়ে পুঁজিবাজার ফের ধপাস।
এর আগে টানা ৬ কর্মদিবস পতন হয় শেয়ারবাজারে। ওই পতনে শেয়ারবাজার থেকে ১৩৩ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পরের দুই কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে ফিরে আসে ১১৯ পয়েন্ট। ৬ দিনের পতনে বিনিয়োগকারীরা হারায় ১৪ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা মূলধন। তবে দুই দিনের উত্থানে বিনিয়োগকারীরা হারানো মূলধন থেকে ৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীরা হারানো পুঁজির অর্ধেক ফিরে পান। এতে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহের তৈরি হয়। তবে বুধবার আবার পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। একদিনের পতনে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ৬০ কোটি টাকা হারাল।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় পতনে চলে যায় সূচক। কিছুক্ষণ পর আবার উত্থানে ফিরে আসে। এরপর কখনো পতন আবার কখনো উত্থান। এভাবে লেনদেন চলতে থাকে শেয়ারবাজারে। তবে পতনে দিয়েই শেষ হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা পতনের পর মাঝে দুই কর্মদিবস উত্থান হয় শেয়ারবাজারে। এতে করে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে। শেয়ার দর বাড়ায় কিছুটা মুনাফা হয় বিনিয়োগকারীদের। এই মুনাফা থেকে কিছুটা তোলার জন্য একসাথে সব বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এতে চাপ সামলাতে পারেনি শেয়ারবাজার। তবে আগামী দিনগুলোতে শেয়ারবাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে তারা আশা করেন।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ৩.৭৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ০.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৪০২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আজ লেনদেন ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বা ১১ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৪০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৯টির বা ১৯.৬০ শতাংশের, কমেছে ২৫৮টির বা ৬৪.০২ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৬৬টির বা ১৬.৩৮ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ৯৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩০টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ পয়েন্টে।
2009 saler 16 november index 1 dine 743 point barsilo,picone ki karon cilo news koren