উত্থান শেয়ারবাজারেও দুই শতাধিক কোম্পানির দর পতন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগের কর্মদিবস পতন হলেও আবার উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজার উত্থানে ফিরলেও লেনদেনে অংশ নেয়া দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। একই সাথে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও।
বুধবার শেয়ারবাজারে থেকে ১৬ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। আর বৃহস্পতিবারের উত্থানে ১৩ পয়েন্ট সূচক ফিরে আসে। এদিন সূচক বাড়লেও শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ৩৮৩ কোটি টাকা হারিয়েছে।
এদিন সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। কিন্তু ১০টা ২৬ মিনিটের দিকে সূচক প্রথমে পতনে চলে যায়। এখান থেকে বাজার সূচক উত্থানে ফিরলেও আবার ১১টা ৫১ মিনিটের দিকে পতনে নামে সূচক। এরপর পতনে লেনদেন হতে থাকে। দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে সূচক আবার উত্থানে ফিরে আসে। আরো একবার সূচক পতনে নেমে আবার উত্থানে ফিরে। এরপর বাকিটা সময় উত্থানেই লেনদেন হয় এবং শেষ হয় বৃহস্পতিবারের লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ভালো লক্ষণ যে আগের দিন পতন হলেও আজ আবার উত্থানে ফিরে এসেছে বাজার। আগামী দিনগুলো বাজার আস্তে আস্তে ভালোর দিকে ফিরে আসবে। তবে সবার আগে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাজারের প্রতি আস্থা বাড়াতে হবে। বাজারের প্রতি আস্থা বাড়লে বিনিয়োগও বাড়বে। যা বাজারকে ইতিবাচক করবে।
এর আগে টানা ৬ কর্মদিবস পতন হয় শেয়ারবাজারে। ওই পতনে শেয়ারবাজার থেকে ১৩৩ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পরের দুই কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে ফিরে আসে ১১৯ পয়েন্ট। ৬ দিনের পতনে বিনিয়োগকারীরা হারায় ১৪ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা মূলধন। তবে দুই দিনের উত্থানে বিনিয়োগকারীরা হারানো মূলধন ফিরে পায় ৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীরা হারানো পুঁজির অর্ধেক ফিরে পায়। বুধবার আবারও পতন হয় শেয়ারবাজারে। একদিনের পতনে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ৬০ কোটি টাকা লোকসানে পড়েছে। বৃহস্পতিবার আবার উত্থানে ফিরে আসে বাজার। উত্থানেও বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে ৩৮৩ কোটি টাকা হারিয়েছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২১ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮.২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আজ লেনদেন ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বা ১৬ শতাংশ কমেছে।