প্রবীণদের জন্য উদ্বোধন হলো নিরাপদ আবাসন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ রিটায়ারমেন্ট হোমস এন্ড হসপিটাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ যাত্রা শুরু করলো প্রবীণদের নিরাপদ আবাসন,চিকিৎসা ও বিনোদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিষ্ঠান জাপান বাংলাদেশ রিটায়ারমেন্ট হোমস এন্ড হসপিটাল। ঢাকার পূর্বাচলের পাশে রুপগঞ্জে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্দ্যগে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের একটি রিটায়ামেন্ট হোমস এন্ড হসপিটাল এটি।
বাংলাদেশে বাড়ছে প্রবীণ জনগোষ্ঠী, গবেষণা বলছে ২০৪০-৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যায় ২০ থেকে
২৫ শতাংশ প্রবীণ জনগোষ্ঠী থাকবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এই বিশাল সংখ্যক প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশে সেবাভিত্তিক তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। উল্টোদিকে বর্তমানে সারাবিশ্বে জাপানে অতি প্রবীণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জাপান প্রবীণদের জন্য নানা ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং পুরো বিশ্বে রোল মডেল স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে এই প্রথম জাপানের সর্বাধুনিক ওল্ড কেয়ার হোমের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ রিটায়ারমেন্ট হোমস এন্ড হসপিটাল।
প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে প্রবীণবান্ধব ২৩২ টি স্টুডিও এপার্টমেন্ট, বিছানা কেন্দ্রিক অসুস্থ প্রবীণ বা হুইল চেয়ার কেন্দ্রিক প্রবীণদের জন্য ১৫০ শয্যার কেয়ার সেন্টার, মৃত্যুপথযাত্রী প্রবীণদের জন্য ৮০ শয্যার পেলিয়েটিভ কেয়ার, টার্মিনাল কেয়ার ও হসপিস কেয়ারের ব্যবস্থা, রয়েছে সকল সুবিধা সম্বলিত বিশ্ব মানের প্রবীণ হাসপাতাল, ফিজিওথেরাপি সেন্টার, ডে-কেয়ার সেন্টার, মানসিক ও আত্নিক সুস্থতা নিশ্চিত করবার জন্য প্রার্থনা, যোগব্যয়াম, ধ্যান ইত্যাদি সুবিধাসহ স্পিরিচুয়াল ওয়েলনেস সেন্টার। এছাড়াও রয়েছে সুইমিং পুল, জ্যাকুজি, স্টিম বাথের ব্যবস্থা। প্রবীণদের বিনোদনের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি, মুভি থিয়েটার, রিভার ক্রুজ ও নানা
ধরনের ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা।
এককথায় বলতে গেলে সব বয়েসি প্রবীণ ব্যক্তির চাহিদা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দেশের স্বনামধন্য ল্যাপরোস্কোপিক সার্জন অধ্যাপক ডাঃ সরদার নাঈম। তিনি বলেন, তিনি আজ থেকে ৩২ বছর আগে পড়াশোনা শেষ করে জাপান থেকে দেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল। তখন থেকেই প্রবীণদের নিয়ে দেশে একটা কিছু করার পরিকল্পনা ছিলো, আজ সে পরিকল্পনা বাস্তবে রুপ নিলো, তিনি আশা করেন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে ও স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে।
২০ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ শুক্রবার দিনব্যাপি পিঠা উৎসব ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জাপান
থেকে আগত অতিথিবৃন্দ ও অধ্যাপক ডাঃ সরদার নাঈম এর মাতা রাজিয়া কাদের ও শশুর অধ্যাপক আশা ইসলাম নাঈমের বাবা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পরিচালকদের পিতা-মাতা উদ্ভোধন করেন প্রবীণদের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ রিটারমেন্ট হোমস এন্ড হসপিটাল। এদিন একইসাথে ডাঃ নাঈম মোড়ক উম্মোচন করেন প্রবীণের স্বাস্থ্যকথা নামের ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা, প্রতি তিনমাস পরপর ম্যাগাজিনটি প্রবীণদের জন্য প্রকাশিত হবে বলে তিনি জানান।