আজ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

প্রাণ-বৈচিত্র রক্ষার কথা বলা হলেও সেন্টমার্টিন নিয়ে জরিপ হয় না প্রায় তিন দশক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে সরকারি যেসব তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, সবই প্রায় ২৮ বছরের পুরোনো। ১৯৯৭ সালের পর দ্বীপটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ জরিপ হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ শুরু করলেও, নানা প্রতিবন্ধকতায় পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি সেটি। সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রয়োজন আন্ডার ওয়াটার গবেষণা্র। মহাপরিকল্পনা নিলে দ্বীপটি ঘিরে গড়ে তোলা যাবে বিলাসবহুল ভ্রমণ গন্তব্যরূপে।

সেন্টমার্টিন মূলত পাথুরে দ্বীপ। চারপাশের সমৃদ্ধ প্রবাল এবং অনন্য জীব-বৈচিত্রের কারণে দ্বীপটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হিসেবে, সেখানে রয়েছে ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালসহ নানা গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ-কাঁকড়া।

এই তথ্য বেশ পুরনো। কানাডিয়ান সমুদ্রবিজ্ঞানী থমাস তমাসিক’র নেতৃত্বে দ্বীপটির অনন্য-সমৃদ্ধ এসব তথ্য জানা যায় ১৯৯৭ সালে। পরে বিভিন্ন সময়ে প্রাণ-বৈচিত্র রক্ষায় কথাবার্তা হলেও, নতুন করে জরিপ হয়নি।

এ বিষয়ে অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী। তিনি বলেন, একটা প্রতিষ্ঠান অথবা একটা দেশের জন্য তার ভৌগলিক সীমানার সামুদ্রিক অঞ্চলের যে ডেটাগুলোর সংরক্ষণ আবশ্যিক, সেগুলো আমরা রেকর্ড রাখা শুরু করেছি।

সমুদ্র গবেষণায় ২০১৮ সালে কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠা করা হয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। নানা প্রতিবন্ধকতায় পূর্ণাঙ্গ গবেষণা চালাতে পারেনি সেটি।

দ্বীপটির প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে যারা গবেষণা করেছেন তারা বলছেন, প্রবালের সংখ্যা আগের চেয়ে কমলেও, নতুন নতুন জায়গায় জন্মাতে দেখেছেন প্রবাল। দেখা মিলেছে সি উইড, সি-হর্সের মতো সামুদ্রিক শৈবাল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইননু নিশাত জানান পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশে অনেক বিদেশি থাকেন, তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে এটি।

সেন্টমার্টিনের প্রাণ-প্রকৃতি ও পর্যটন ঘিরে একাধিক মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে পর্যটনের সমান্তরাল একটি মেলবন্ধন আনতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া পর্যটন, পরিবেশগত ও প্রাণ বৈচিত্রের কারণে সেন্টমার্টিনের সর্বদক্ষিণের অংশ ছেঁড়াদ্বীপ ঘিরে আলাদা পরিকল্পনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সার্বিক পরিকল্পনার যথার্থ বাস্তবায়ন হলেই দেখা যাবে এর দৃশ্যমান পরিবর্তন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.