আজ: বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে দুজন ছাড়া সব আরোহীর মৃত্যুর শঙ্কা

আন্তজার্তিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের দুজন ছাড়া বাকি সব আরোহীই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ১২৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল।

যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্লেনটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক যাত্রী ও এক ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাঝারি আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। ওই প্লেনটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি।

পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এয়ারলাইন জিজু এক বিবৃতিতে এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুয়ান এয়ারপোর্টের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা যা যা করার দরকার সব করব। এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এই বিমান সংস্থাটির ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো দুর্ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স। দেশটির দমকল বিভাগের ধারণা পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।

এদিকে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে যে, প্রায় সব ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.