আজ: বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিএসএম এর ৩৮তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দুদিনব্যাপী বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস (বিএসএম)-এর ৩৮তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শুরু হওয়া এই সম্মেলনে একত্রিত হয়েছিলেন ছয়শ জনের বেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, ভেটেরিনারিয়ান, ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালস, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থী। এই কনফারেন্সে মাইক্রোবায়োলজি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের ১০টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন। দুদিনব্যাপী এই কনফারেন্সে ১৫টি সেশন এবং ১১টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। বিএসএম এর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বি-এর সিনিয়র বিজ্ঞানী এবং বিএসএম-এর সভাপতি ড. মুনিরুল আলম এবং বিএসএম-এর সাধারণ সম্পাদক ড. এম. মঞ্জুরুল করিম।অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেস এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. নাদিয়া সুলতানা দীন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেস এর প্রফেসর প্রফেসর এম. মাহবুব হোসেন। বিএসএম-এর সাধারণ সম্পাদক ড. এম. মঞ্জুরুল করিম বিএসএম-এর কার্যক্রম এবং সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর এম. আমিনুল ইসলাম মাইক্রোবায়োলজিক্যাল গবেষণায় উদ্ভাবন ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলেন। তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ধরনের গবেষণার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশে মাইক্রোবায়োলজি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে বিএসএম-এর অবদানের প্রশংসা করেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ তার বক্তব্যে বলেন, নতুন জ্ঞানের সৃষ্টিতে এই ধরনের সম্মেলনের অবদান অনেক। এবারের বার্ষিক কনফারেন্স ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আয়োজন করায় তিনি বিএসএমকে ধন্যবাদ জানান।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার জ্ঞানের বিকাশে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সেই সাথে তিনি বিশ্বব্যাপী নৈতিক মানদণ্ডের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রফেসর ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো। মাইক্রোবায়োলজির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.