বছরের ইতিবাচক সমাপ্তি পুঁজিবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : বছরের শেষ কর্মদিবস সোমবারও উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। তবে বিনিয়োগকারীরা আরো ৭০৯ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন।
এর আগে টানা তিন কর্মদিবস পতনের পর বৃহস্পতিবার এবং রোববার উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। টানা তিন কর্মদিবস শেয়ারবাজার থেকে ৫২ পয়েন্ট হারিয়ে যায়। তবে শেষ তিন কর্মদিবস উত্থানে শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৪৭ পয়েন্ট। আর শেষ তিন কমদিবস শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে আজ সোমবার শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৭০৯ কোটি টাকা।
সোমবার সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। দুপুর ১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত সূচক উত্থানে থেকেই লেনদেন হতে থাকে। তবে ১টা ১৩ মিনিটে সূচক পতনে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সূচক আবার উত্থানে ফিরে আসে। এরপর বাকিটা সময় উত্থানে থেকেই লেনদেন হয় শেয়ারবাজারে এবং উত্থানেই শেষ হয় লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন পতনে থাকা বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে ফিরতে শুরু করেছে। সরকারসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবাই বাজারকে স্থিতিশীলতায় ফিরাতে দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা ফিরতে শুরু করেছে।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ২.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮.০৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৭৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আজ লেনদেন ৫০ লাখ টাকার বা ০.১৩ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪২টির বা ৩৫.৭৬ শতাংশের, কমেছে ১৮৪টির বা ৪৬.৩৫ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৭১টির বা ১৭.৮৮ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ৯৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩২টির।এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৪৮৬ পয়েন্টে।