আজ: বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিম ঝড়ে চ্যাম্পিয়নের মতো শুরু বরিশালের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই দুর্বার রাজশাহীর রান পাহাড় টপকিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। বিপিএলে এটাই তাদের সফলতম রান তাড়া, আসরের ইতিহাসে এটা যৌথভাবে তৃতীয় সেরা রান তাড়া।

কাগজ-কলমে এবারের দুর্বলতম দল দুর্বার রাজশাহী ১৯৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল ফরচুন বরিশালের সামনে। কিন্তু তারকাসমৃদ্ধ বরিশাল ১৮.১ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই জিসান আলমের স্পিনে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন ফরচুন বরিশালের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১২ রানে একইভাবে আউট হন তামিম ইকবালও। তাকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। কাইল মেয়ার্সকেও দ্রুতই ফেরান এই পেসার। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল। সুইপ খেলতে গিয়ে মুশফিকুর রহিম আত্মাহুতি দেন হাসান মুরাদের বলে দলীয় ৫১ রানে। ১০ রান পর একই বোলারের বলে আউট হন তাওহিদ হৃদয়ও।

৬১ রানে ৫ উইকেট হারানো বরিশালের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী তখন শাহীন শাহ আফ্রিদি। দর্শকদের বিনোদন দিয়ে ১৭ বলে ২৭ রান করেন তিনি ৩ ছয় ও ১ চারে। তবে তিনি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি ইনিংস।

পরে রিয়াদের সঙ্গে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই দুরন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদকে হাঁকান ৩ বলে ৩ ছয়। তাকে পেয়ে আরেকটু চড়াও হন মাহমুদউল্লাহও। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক।

১১২ রানে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল ১৯৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারবে না যখন মনে হচ্ছিল, তখনই এই দুই ব্যাটার বেধড়ক পিটিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে। ৪টি ছয় ও ৫ চারে ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে, ৭ ছয় ও ১ চারে ২১ বলে ৫৪ রান করে নটআউট ফাহিম আশরাফ।

দুর্বার রাজশাহীর হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩১ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে। ২৫ রানে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বির জুটিতে। এই দুজন মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন।

তাদের জুটি ভাঙে বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করে বিদায় নিলে। ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ ছয় ও ৭ চারে। তবে তার ইনিংস বিফলে গেছে দলের পরাজয়ে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.