আজ: শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার |

kidarkar

যুক্তরাষ্ট্রে ভিড়ের মাঝে উঠে গেল গাড়ি, নিহত ১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরের জনপ্রিয় এক পর্যটন জেলায় ভিড়ের মধ্যে গাড়িচাপায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি বলে বুধবার শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নববর্ষের উদযাপনের সময় নিউ অরলিন্সের বোরবন স্ট্রিটের সঙ্গে সেখানকার একটি খালের সংযোগস্থলে এই গাড়িচাপার ঘটনা ঘটেছে।

এক বিবৃতিতে নিউ অরলিন্সের জরুরি প্রস্তুতি কর্মসূচি নোলা রেডি বলেছে, ‘‘শহরের অষ্টম ডিস্ট্রিক্টের খাল ও বোরবন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে বিশাল ভিড়ের মাঝে গাড়িচাপায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় কাজ করছে তারা। ঘটনাস্থলে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।’’

আহতদের অন্তত পাঁচটি ভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নোলা রেডি। এর আগে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, বোরবন স্ট্রিটে মানুষের ভিড়ের মাঝে একটি ট্রাক প্রচণ্ড গতিতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে ট্রাকটির চালক নেমে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়েছে।
বুধবার কখন এই ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি। তবে ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার নামে পরিচিত জনপ্রিয় ওই পর্যটক এলাকায় খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদযাপনে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছিল।

লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, আজ সকালে বোরবন স্ট্রিটে একটি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ভুক্তভোগী ও জরুরি কর্মীদের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অতীতেও যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরে ভিড়ের মাঝে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। গত নভেম্বরে নিউ অরলিন্সের প্যারেড রুটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির সময় পৃথক গুলির ঘটনায় দু’জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছিলেন।

এছাড়া ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ অরলিন্সের মার্ডি গ্র্যাস এলাকায় প্যারেডের সময় জনতার ভিড়ের মাঝে পিকআপ ট্রাক চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় ২০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.