“স্টাডিনেট” আয়োজন করছে ‘অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন রোডশো-২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষায় ইচ্ছুক তাদের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম সনামধন্য এডুকেশন কনসাল্টেন্সি “স্টাডিনেট” আয়োজন করছে ‘অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন রোডশো-২০২৫’।
আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, রাজধানীর ক্রাউন প্লাজা ঢাকা গুলশান হোটেলে, লেভেল ২৫ এ সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এ রোডশো অনুষ্ঠিত হবে। যারা রোডশোতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ফ্রি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে https://www.studynet.com.au/expo-bd ইভেন্টে অংশগ্রহন করতে পারবেন।
আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট, সিভি এবং আইইএলটিএস স্কোর সঙ্গে আনতে হবে।
আয়োজকদের মতে, এ রোডশোতে প্রায় ৩০ টি শীর্ষস্থানীয় অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। শিক্ষার্থীরা সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রোগ্রাম, কোর্স, টিউশন ফি, স্কলারশিপ এবং ক্রেডিট ট্রান্সফারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এতে শিক্ষার্থীরা স্পট অ্যাসেসমেন্ট এবং দ্রুত অফার লেটার পাওয়ার সুযোগও থাকছে।
এই ইভেন্ট এর আয়োজক স্টাডিনেট একটি প্রযুক্তিনির্ভর আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট প্লেসমেন্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যারা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোর সঙ্গে কাজ করে থাকে। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের ছয়টি দেশে কাজ করে আসা প্রতিষ্ঠানটি উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছে। স্টাডানিট এর বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল তারা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথেই কাজ করে থাকে । শুধু একটি দেশ নিয়ে কাজ করায় তাদের ভিসা সফলতা ও সেবার মানে শিক্ষার্থীরা সবসময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এছাড়াও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করায় তাদের কোন সার্ভিস চার্জ বা ফাইল ওপেনিং চার্জ নেই।
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে এই রোডশো একটি দারুণ সুযোগ হতে পারে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
বিশ্বজুড়ে অনেকের কাছেই অন্যতম স্বপ্নের গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও নয়নাভিরাম দর্শনীয় স্থানের জন্য বিখ্যাত হলেও উচ্চশিক্ষার জন্যও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে দেশটিতে। ফলে, বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়া বেশ জনপ্রিয় দেশ এবং ধীরে ধীরে এই জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। অনেক বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ায় মোটে বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩টি। এ ছাড়া রয়েছে অনেক ইনস্টিটিউট, যেখান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস র্যাঙ্কিং ২০২৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং-এ .অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের তৃতীয়-শ্রেষ্ঠ উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে জায়গা পেয়েছে।
তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং বৈচিত্র্যময়। এখানে রয়েছে ৫০,০০০ এরও বেশি কোর্স এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ২০-১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া বাইজিদ বোস্তামি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান যেমন উন্নত তেমনি, অভিনব পদ্ধতিতে পরীক্ষা, এসাইনমেন্ট ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের বর্তমান যুগের চাকরির বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলছে। ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ বাইজিদ এখন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ‘OPTUS’ এ কর্মরত আছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া পুরোটাই হয় অ্যাসাইনমেন্ট এবং গবেষণার মাধ্যমে। এখানে একজন শিক্ষার্থীর যত বেশি জানার আগ্রহ থাকবে, সে তত বেশি জানতে পারবে এবং শিখতে পারবে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সরকার মাইগ্রেশন অনেক বেশি সহজ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়া শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে।
এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়া সোনালী আক্তার মীম বলেন বাংলাদেশে বায়ো-মেডিকেল সাইন্স বা জিওলোজি বোটানি রিলেটেড সাব্জেক্টে গুলোর জন্য ৪ বছরের কোর্স প্রদান করে থাকে কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তে এই সাবজেক্ট গুলোর জন্য ৩ বছরের কোর্স প্রদান করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপন, চিকিৎসাব্যবস্থা অত্যন্ত মানসম্মত। পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধাও আছে। স্নাতক শেষ করার পর অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করারও সুযোগ থাকে। তাই তিনি তার পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নিয়েছেন।
Reference: https://www.facebook.com/StudyNetbd/videos/428581949576469 https://www.facebook.com/StudyNetbd/videos/1963470237403117