আজ: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ জানুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন ১০০ জন

শেয়ারবাজার ডেস্ক : জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১০০ জনকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যারা আহত হয়েছে তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না, তবে একেক জন একেকভাবে আহত হয়েছেন। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে কিছু জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নেব। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ১০০ আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। পরবর্তীতে আমরা এ সংখ্যাটা আরও বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি, পরবর্তীতে আমরা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব ডিপার্টমেন্টে এটা করে দেব।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানিলন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে সবথেকে বেশি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি, দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। সিআইডিতে আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল।

সিআইডির তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে, কারা কারা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত- সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই-তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে, বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে, কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদের আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানীও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.