শেয়ারবাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা লুটেছেন সালমান
নিজস্ব প্রতিবেদক : পরনে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা, বলিষ্ঠ চালচলন। প্রথম দর্শনে মনে হবে একজন নিরীহ, ধর্মভীরু বুজুর্গ। বোঝার উপায় নেই যে এই চেহারার আড়ালে রয়েছেন একজন প্রবল পরাক্রমশালী ব্যবসায়ী। যার হাতের ইশারায় চলেছে দেশের ব্যাংক খাত ও পুঁজিবাজার।
সন্দেহাতীতভাবেই তিনি সালমান এফ রহমান। যাকে ‘দরবেশ’ নামেও চেনেন সবাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় গত ১৬ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাত এবং শেয়ারবাজার তছনছ করে দিয়েছে সালমান এফ রহমান ।আর্থিক খাতের এই ‘দরবেশ’ আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুঁজিবাজারে তার কারসাজির কারণে গত তিন দশকে অনেক বিনিয়োগকারী পথে বসেছেন। গত কয়েক বছর ব্যাংক থেকে টাকা বের করে ব্যক্তি ও বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনে কারসাজি করেন সালমান।সালমানের ক্ষমতার প্রভাবে শেয়ারবাজার থেকে লুটেছেন ৭ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে তেমনি এক চিত্র। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানসহ ৭৪ ব্যক্তি এবং তার বেনামি আট প্রতিষ্ঠানের নামে ৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়। এসব শেয়ার কেনা হয় সাতটি ব্যাংক থেকে ঋণ বের করে। গত তিন থেকে চার বছরের মধ্যে শেয়ারগুলো কিনেছেন সালমান এফ রহমান। ইতোমধ্যে এসব শেয়ারের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট (বিএফআইইউ)।
তথ্য অনুযায়ী, বেনামি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো অ্যাবসলিউট কনস্ট্রাকশন, অ্যাপোলো ট্রেডিং, এআরটি ইন্টারন্যাশনাল, জুপিটার বিজনেস, ক্রিসেন্ট লিমিটেড, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিং এবং ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনাল। ৭৪ জন ব্যক্তির পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে।