আজ: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার |

kidarkar

কমেছে সবজির দাম, চাল-মুরগি-মাছ আগের মতোই চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুর দাম ১০ টাকা কমলো। বলা চলে, বাজারে শীতকালীন সব সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে ডিমের দাম স্থিতিশীল আর চাল, মুরগি ও মাছের দাম আগের মতোই চড়া।

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছুটির দিন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। বাকি সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি গোল ও লম্বা বেগুন আগের মতো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা ২০ টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের মতো করলা,পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লালশাক, পালং, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আলু ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শনিআখরা কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ, দামও কম। বাজারে এখন প্রচুর আলু পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে দেশি আলু। এ জন্য দাম কমেছে।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫০-৫৫ টাকা, ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চীনা আদা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম তেল ও সুপার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতিকেজি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০ টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের মতোই চড়া চালের বাজার। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, মানভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০-৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটিস্বর্ণা) ৫৫-৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৪-৯৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী হামিদুল্লাহ বলেন, বাজারভেদে চালের দাম ৫-৬ টাকা কমবেশি হয়। এর কারণ সরবরাহ ও মজুত। কারও কাছে পুরোনো চাল থাকলে সে আগের দামে বিক্রি করতে পারে।

তবে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। জুবায়ের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। ভরা মৌসুমে চালের এতদাম হলে অন্যসময় কী হবে?

নুরুন নাহার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এখন যে পরিস্থিতি আগামী রমজানে তো মনে হয় চালের দাম ১০০ টাকা ছাড়াবে। চালের বাজারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.