আজ: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ জানুয়ারী ২০২৫, শনিবার |

kidarkar

চার আগস্ট পরবর্তী বেশিরভাগ হামলাই রাজনৈতিক: প্রেস উইং

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত চার আগস্টের পর সংঘটিত হামলার ঘটনার মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক ছিল। এছাড়া, কমপক্ষে ১৬১টি দাবি মিথ্যা বা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক হামলা ও দাবির বিষয়ে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলে হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রমণগুলো সাম্প্রদায়িকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল না, বরং রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, এই হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি এবং উপাসনালয়গুলোতে ২ হাজার ১০টি ঘটনা রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ ঐক্য পরিষদের এই অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করেছে। পুলিশ সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিপোর্টে উল্লিখিত সব স্থান, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ঐক্য পরিষদের ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের দাবির গুরুত্বের ভিত্তিতে পুলিশ এ পর্যন্ত ৬২টি মামলা করেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রমণগুলো সাম্প্রদায়িকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল না, বরং রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।

এছাড়া ঐক্য পরিষদের দাবির বাইরেও পুলিশ ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ৫৩টি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আরও ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১১৫টি মামলা হয়েছে। এবং এসব মামলার ভিত্তিতে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যেকোনও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ ইতোমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তারা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.