আজ: সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ জানুয়ারী ২০২৫, সোমবার |

kidarkar

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের কার্যক্রমে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, নগদের ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত আমরা দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো অনিয়ম পেয়েছি। মারাত্মক ঘটনা হলো- তারা অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে প্রায় ৬০০ কোটি ই-মানি তৈরি করেছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর।

গভর্নর বলেন, নগদ নিয়ে আমরা শুরু থেকে গভীরভাবে কাজ করছি। সেখানে সুশাসন নিশ্চিতে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। তাদের আগের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেগুলো তদন্তে কাজ চলছে। নগদের ব্যবস্থাপনায় আরও অনিয়ম চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চলমান।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম: ব্রিজিং দ্য গ্যাপস’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এমসিসিআই ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়ালগুলোর মধ্যে বাজারে বিকাশ রয়েছে। তারা বেশ ভালো অবস্থানে। আমরা চাই এ মার্কেটে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আসুক। নগদকে আমরা সেই পথে ফেরাতে চাই। সুশাসন ফিরলে আমরা নগদের জন্য নতুন বিনিয়োগ আহ্বান করবো। তার আগে এখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা নগদকে বাজারে আরেকটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে কাজ করছি।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এমএফএস খাত আরও টেকসই করতে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। আবার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিমুক্ত, ঝামেলামুক্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে পাঠ্যক্রমে ধারণা দিতে হবে। যাতে হাই স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এটার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা শিখে আসে।

টেলিকম খাতে বর্তমান করের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। কর আরও বৃদ্ধি পেলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমে যেতে পারে এবং সেবার মানও নেমে যেতে পারে।

সেমিনারে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বাংলাদেশের অবস্থান, করণীয় ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এমসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার, বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির প্রমুখ।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.