আজ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার |

kidarkar

ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাসে নতুন শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শুল্কায়নের জন্য পণ্য চালান জমা দেওয়ার সময় এখন থেকে সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট অনলাইনে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো) সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো ধরনের সনাতনী বা হাতে লেখা সার্টিফিকেট গ্রহণ করবে না শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স এবং পারমিটও এখন থেকে এই অনলাইন সিস্টেমে জমা দিতে হবে।

এ সাতটি প্রতিষ্ঠান হলো: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল,ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর,
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি),বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর পক্ষ থেকে এই নতুন নিয়মের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যাতে আমদানি-রপ্তানির কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ইত্যাদি অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে এবং শুল্ক কর্মকর্তারা এসব যাচাই করতে সক্ষম হবেন। ১ মার্চ থেকে আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানও এই প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে, যেগুলি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী মার্চ থেকে সরকারি ১৯টি দপ্তরের লাইসেন্স-সংক্রান্ত সেবা কাগজপত্র দিয়ে করা যাবে না। সমস্ত কার্যক্রম অনলাইনে করতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বরাদ্দ আটকে দেব।’

তিনি আরও বলেন, “এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পণ্য চালান খালাসে যে সময় এবং খরচ বাঁচাবেন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (টিএফএ) অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা ২০২৬ সালের মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর করা হবে।

এছাড়া, এই প্রক্রিয়া শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য নয়, বরং শুল্ক ফাঁকি রোধ এবং ব্যবসায়ের গতিশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনবিআরের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল আমদানি-রপ্তানির খালাস প্রক্রিয়া সহজতর করা, ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমানো এবং বন্দরে পণ্য খালাসের সময়কে কমিয়ে আনা।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.