পতন থামার লক্ষণও নেই, সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন লাখো বিনিয়োগকারী
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে দুর্যোগ চলছে। একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে বাজার। সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন লাখো বিনিয়োগকারী। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসেছে, এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। লোকসানের পরিমাণ এত বেড়েছে যে কিছু লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যাবেন, সে চিন্তাও ছেড়ে দিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। কোনোভাবেই দর পতন থামছে না।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন,শেয়ারবাজারে মারাত্মক আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে। আস্থা হারিয়েছেন সিংহভাগ বিনিয়োগকারী। ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতা অনেক বেশি। এ অবস্থা থেকে বাজার ভালো করতে হলে সবার আগে এই আস্থা সংকট দূর করতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাজার কিছুটা ইতিবাচক ছিল। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬০ লাখ ২৯৩ কোটি টাকা।
এরপর থেকে চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবস পতনের বৃত্তেই আটকে আছে। এই চার কর্মদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকায়। এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা।
আগের তিন কার্যদিবসের মতো আজ বুধবারও (১৫ জানুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে। যা মঙ্গলবার ১ পয়েন্ট, সোমবার ৪ পয়েন্ট ও রোববার ৩৮ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন ডিএসইতে ৪০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩৫১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বা ১৬ শতাংশ।
ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪৫টির বা ৩৬.৬১ শতাংশের। আর দর কমেছে ১৮২টির বা ৪৫.৯৫ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬৯টি বা ১৭.৪২ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসইতে আজ ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৩ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৫ টির, কমেছে ৮১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৯০ পয়েন্ট।
আগেরদিন সিএসইতে ১১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১৭ পয়েন্ট কমেছিল।
Corrupt business groups trying disturbs share market.