অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি, রোববার থেকে কার্যকর জানালেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি মিলছে গাজার বাসিন্দাদের। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও দখলদার ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি বলেছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদিত চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘এটি (চুক্তি) গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করবে এবং জিম্মিদের পরিবারের সাথে পুণর্মিলন করবে’।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তির চূড়ান্ত বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। তবে এ জন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনিদের ‘স্থিতিস্থাপকতার’ ফল।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও বন্দি বিনিময়ের খবরে অনেক ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার আনন্দিত হয়েছে। তবে এই ঘোষণার মধ্যেও গাজার স্থলভাগে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, কাতারের ঘোষণার পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ার একটি আবাসিক ব্লকে বসবাস করছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে লাখের বেশি বাসিন্দা। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ১২০০-মতো ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।