আজ: সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জানুয়ারী ২০২৫, সোমবার |

kidarkar

বিরতির প্রথম দিন গাজায় সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার প্রবেশ করেছে ৫৫২টি খাদ্য ও জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

আনাদোলু এজেন্সিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, “রোববার সারা দিনে রাফা ও অন্যান্য সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে মোট ৫৫২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ট্রাকগুলোতে গাজার বাসিন্দাদের জন্য জ্বালানি, ময়দা, চিকিৎসা সামগ্রী, শাকসবজি, মাংস ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ পাঠিয়েছে। এই ট্রাকগুলোর মধ্যে ২৪২টিকে উত্তর গাজায় পাঠানো হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি বাহিনীর ১৫ মাসের অভিযানে গাজার উত্তরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

আগের দিন শনিবার গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছিল, গাজার রাফা ও কারাম আবু সালেম ক্রসিংয়ের কাছে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে ৪ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক।

সামনের দিনগুলোতে গাজায় আরও ট্রাক প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা।

সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাসের সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ হাজার মানুষ।

তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে গাজায়। রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে এই বিরতি।

বিরতির প্রথম দিন ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, বিনিময়ে ৯০ জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি,

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.