আজ: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় পেছালো আইএমএফ

বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় মার্চ পর্যন্ত পিছিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি ওঠার কথা থাকলেও সভার নতুন তারিখ নির্ধারণ করায় তা পেছানো হয়েছে।

আগামী ১২ মার্চ আইএমএফের বোর্ড সভায় উঠতে পারে ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জন্য ঋণ ছাড়ের বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম প্রায় একমাস বন্ধ ছিল। এ কারণেই দাতা সংস্থাটি বোর্ডসভার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে। আর ঋণ পেতে ডলার দর বাজারের ওপরে ছাড়ার বিষয়ে সংস্থাটি থেকে যে চাপ ছিল, সেখানে এরই মধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে আসছি।
তবে আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি পেতে বেশকিছু শর্ত রয়েছে। জুড়ে দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের শর্ত ও ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে সংস্থাটি। যদিও ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে এক কর্মকর্তা। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে বাংলাদেশ। চলমান এ ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। বর্ধিত এ অর্থ দিতেও সম্মত হয়েছে আইএমএফ। তবে এ জন্য কর আদায় ও নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করাসহ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মতো কিছু কঠোর শর্তজুড়ে দেয় আইএমএফ।

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরকালে আইএমএফ মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানান, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। রাজস্ব আয় বাড়ানো সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনসহ কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ সভায়। বোর্ডের অনুমোদন পেলে ঋণ ছাড় করা হবে। একই সঙ্গে চলমান কর্মসূচির আওতায় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলার করতেও তারা সম্মত হয়েছেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.