আজ: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার |

kidarkar

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি গণনা শুরু ২০২৮ সালে

শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের ব্যাংক খাতের বিষফোঁড়া খ্যাত খেলাপি ঋণ। প্রতিনিয়ত এটা বাড়ছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যা এখন বেরিয়ে আসছে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে।

বর্তমানে ব্যাংকিং খাত প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার খেলাপি নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। যা মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। মাত্রাতিরিক্ত খেলাপির কারণে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের (প্রভিশন) পরিমাণ বেড়েছে। যা অনেক ব্যাংকের পক্ষ থেকে পূরণ করে সম্ভব হচ্ছে না।

আর এটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির প্রস্তাবিত আর্থিক খাতের সংস্কারের মধ্যে খেলাপি এবং প্রভিশনিং নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। প্রস্তাব বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মধ্যে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে খেলাপি ঋণ এবং প্রভিশনিং আন্তর্জাতিক মানের করতে বিশদ সময়-কাঠামেো ঘোষণা করেছে। যা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড-৯ (আইএফআরআই-৯) এর কাঠামো অনুযায়ী ২০২৮ সাল থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, আইএফআরআই-৯ এর আওতায় গ্রাহকের এক্সপেকটেডম ক্রেডিট লস, (ইবিএল) পদ্ধতিতে প্রভিশন সংরক্ষণ করা হবে। ইসিএল মূল্যায়নে ক্ষেত্রে ব্যাংকের গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে।

তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাকের নতুন রোডম্যাপে আর্থিক এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াবলী গুরুত্ব আরোপের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণ খেলাপির বিদ্যমান শ্রেণীকরণ স্ট্যান্ডার্ড (এসএস), ডাইডফুল (ডিএফ), ব্যাড অ্যান্ড লস (ইএল) হিসাব থাকবেন না। নতুন পদ্ধতিতে ঋণ শ্রেণীকরণের ধরণ হবে ফেজ-১, পেজ-২ এবং ফেজ-৩। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা সিইও এর নেতৃত্বে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবো এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ব্যাংকগুলোর বাস্তবায়ন কমিটিতে ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম), ফিন্যান্সিয়াল একাউন্টস (এফএ), তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি), চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও), চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসারসহ (সিএফও) সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সুচারুরূপে প্রতিবেদন তৈরি করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) অবহিত করবে। আর নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনের দেশের বাইর থেকে কারিগরি ও দক্ষতা সংক্রান্ত সহায়তা নিতে পারে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.