আজ: রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫ইং, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার |

kidarkar

জেড ইস্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, সমাধান কোন পথে!

খালিদ হাসান: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরিতে কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার পতনের পর, জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যা ৫৭ থেকে বেড়ে ৯০-এ পৌঁছেছে, যা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিহানির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জেড ক্যাটাগরিতে সাধারণত সেইসব কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যারা পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে, দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন করেনি, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে, অথবা যাদের রিটেইনড আর্নিংস পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, কোম্পানির নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য বিব্রতকর।

এ ইস্যুতে সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশন এই সমস্যা সমাধানে স্টক এক্সচেঞ্জ ও টাস্কফোর্সের প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা কোম্পানিগুলোর নন-কমপ্লায়েন্স ইস্যু সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ক্যাটাগরির বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের বিষয়। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি মনে করে যে ক্যাটাগরির থাকা উচিত না। তারা যদি এধরণের কোনো সুপারিশ কমিশনে করে তাহলে কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি টাস্কফোর্সের সুপারিশের মধ্যে এধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংক্রান্ত কোনো বিষয় থাকে তাহলে পরবর্তীতে কমিশন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানির নন-কমপ্লায়েন্সের দায় পরিচালনা পর্ষদকে নিতে হবে, এতে যেন বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তারা আরও পরামর্শ দেন যে, পুঁজিবাজারে জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে কারসাজির সুযোগ থাকে, তাই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ক্যাটাগরিই থাকা উচিত নয়।

বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারীবান্ধব হবে এবং জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে সমাধান দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।

তবে, ইতোমধ্যে বিএসইসির উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে কিছু কোম্পানি জেড ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত হয়েছে।

উল্লেখ্য, কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি লভ্যাংশ বিতরণজনিত নন-কমপ্লায়েন্সের সমাধান করে জেড থেকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

৪ উত্তর “জেড ইস্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, সমাধান কোন পথে!”

  • Sohrab Uddin Akanda says:

    ছোট বড় শ্রেণীবিন্যাস থাকা উচিত ।
    কোন কোম্পানি পর পর দুই বছর যদি লাভ দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই কোম্পানি অবশ্যই জেট ক্যাটাগরিতে যাবে । কোম্পানি যদি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে সেই কোম্পানি রেড ক্যাটাগরি দেয়া উচিত ।
    কোম্পানি যদি ঋণ পরিষদে ব্যর্থ হয় ।।
    সে কোম্পানি রেড ক্যাটাগরি হবে ।

  • মো হাফিজ says:

    কমপানি লাভ না দিলে ঐ কমপানির মালিক ও সটাপদের সমপদ থেকে বিনিয়োগ কারিদের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত

  • মো হাফিজ says:

    কমপানি লাভ না দিলে ঐ কমপানির মালিক ও সটাপদের সমপদ থেকে বিনিয়োগ কারিদের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত

  • Anonymous says:

    কোম্পানিগুলি লাভ না দিয়ে বাচতে ছায়।জেড কটাগোরিতে দিলে তারা আনন্দ পায় তাই আমরা কতৃপক্ষকে অনুরোধ করি জেড়কটাগরিতে স্থানান্তরের সময় প্রতিষ্টানটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে স্টক এক্সচেঞ্জের উপরও কোম্পানির হিসাব নিকাশ সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিকতা নিশ্চিত হতে হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.