শেয়ারবাজারে পতনের নেপথ্য কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক কার্যদিবস দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানোর পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে সার্বিক শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দাপট দেখায় তালিকাভুক্ত ব্যাংক কোম্পানিগুলো। ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টির শেয়ার দাম বাড়ে। আর বাকি তিনটির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত থাকে। ব্যাংকের এমন দাপটের ফলে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়।
কিন্তু প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিক শেয়ারবাজারে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয় অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২৩টির শেয়ার দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৪টির এবং ৯টির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সব খাত মিলে ডিএসইতে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির। এছাড়া ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫৩ টাকার। ১২ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রিলায়েন্স ওয়ান দ্য ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, লাভেলো আইসক্রিম, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, শাহিনপুকুর সিরামিক, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং এবং বিচ হ্যাচারি।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
কড়া হেড লাইন
এরা কী পড়ালেখা করে সাংবাদিক হয়েছে?
Business to hoyeagachea Arki akho Ramadan o umra palon korbea aito cholea bochor ar por bochor!!!!!!!!!
News er maan valo Korte hobe