আজ: রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ইং, ১৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ মার্চ ২০২৫, শনিবার |

kidarkar

ব্যাংকে তারল্য বেড়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা

শেয়ারবাজার ডেস্ক : দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এক ধরনের সংকট তৈরি হয়। থমকে যায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। এতে বেড়ে যায় ব্যাংকে তারল্য।ব্যাংকগুলোতে গত এক বছরে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে সিকিউরিটিজসহ ব্যাংকিং খাতের মোট অতিরিক্ত তরল সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। যা তার আগের বছর ২০২৩ এর ডিসেম্বরে ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তবে অতিরিক্ত তরল সম্পদ বাড়লেও অতিরিক্ত নগদ ২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা কমে গত ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

পটপরিবর্তনের মাস আগস্টে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তরল সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে এ অঙ্ক বেড়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। আর ব্যাংকগুলোতে এক বছরে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।

সাধারণত প্রয়োজনীয়তা স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকগুলোকে মোট আমানতের ৪ শতাংশ সিআরআর নগদ আকারে এবং ১৩ শতাংশ এসএলআর নগদ আকারে জমা রাখতে হয়।

ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য বাড়ার কারণ হিসেবে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়াকে উদাহরণ হিসেবে বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বেসরকারি খাতের চেয়ে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বেশি করেছে। এতে অতিরিক্ত তার‌ল্য বেড়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা নভেম্বরের তুলনায় ৩৮ বেসিস পয়েন্ট কম। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মূলত ঋণের চাহিদা কমে যাওয়া, নতুন বিনিয়োগের অভাব এবং সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়ার কারণে এটা কমেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিনিয়োগ বাড়তে পারে।

গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা অক্টোবরের তুলনায় ৬৬ বেসিস পয়েন্ট কম। আর ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। মূলত জুলাই থেকে ধীরে ধীরে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করে। জুলাই মাসে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি তার বছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) ছিল ৩৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.