প্রসঙ্গ বিএসইসি
কর্মকর্তারা যার পদত্যাগ চান, তাকেই সমাধানের দায়িত্ব দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ওটা আমার কিছু করার নেই। বিএসইসির চেয়ারম্যান আছেন, উনি দেখবেন। ওনাকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
এ নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসির বর্তমান ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, ওটা আমার কিছু করার নেই। ওটা উনি (বিএসইসি চেয়ারম্যান) দেখবেন। ওনাকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের অবস্থান হলো- ব্যাপারটা দেখবে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ। আমার এ ব্যাপারে বক্তব্য নেই। চেয়ারম্যান আছেন একজন, উনি দেখবেন।
কর্মকর্তারা ঘেরাও করেছেন, দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন, সেটার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যার যেটা করার করুক।
কর্মকর্তারা আজকে কর্মবিরতি পালন করেছেন, অফিস চলবে কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে তারাই জানে। অনেকেই তো কর্মবিরতি পালন করছে।
এদিকে, বিএসইসি চেয়ারম্যান সচিবালয় থেকে ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, আজকে সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছেন, যে কাজটা করে যাচ্ছি, সেটা যেন করে যাই, আরও জোরদার করি।
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপনাদের পদত্যাগ চায় এবং কর্মবিরতি পালন করছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা যে মিশন নিয়ে নেমেছি, সেই মিশন থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বো না। কোনো ধরনের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। আমরা যে কাজ নিষ্ঠা ও নিয়মের সঙ্গে করে আসছি, সেটা করে যাবো।
কর্মকর্তারা কাজ না করলে কী করবেন, এমন প্রশ্নে বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, আমরা তাদের কাজে যোগদানের জন্য আহ্বান জানাবো। তারপরও যদি কাজে না ফেরেন? এ প্রশ্নে লালারুখ বলেন, সেটা তখন দেখা যাবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ডেকে এনে বিএসইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কমিশনার মহসীন চৌধুরী অন্য কমিশনার এবং চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে বিগত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর এবং শোকজসহ নানাবিধ হয়রানি করছে।
বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
বর্তমান কমিশনকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
কমিশন কর্তৃক মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ডেকে কমিশনের-কর্মকর্তা কর্মচারীদের লাঠিচার্জ করার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিএসইসির জন্য পুঁজিবাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও যোগ্য চেয়ারম্যান এবং কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে।
সংস্কারের অংশ হিসেবে কমিশনকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
সবাই চেয়ারম্যান এর পদত্যাগ চায় কিন্তু আপনারা চান না কেন ?
সাধারণ বিনিয়োগকারী চায় চেয়ারম্যানের পদত্যাগ হোক।
তাহলে মার্কেট ঠিক করুন নতুবা অর্থ উপদেষ্টা আপনি পদত্যাগ করুন ।
কেননা দায় এড়াতে আপনি পারবেন না ।
আপনি উনাকেই দায়িত্ব দিতে চাচ্ছেন কিন্তু কেন ??
উনাকে দায়িত্ব দিয়েসেন ভালো কিন্তু উনিতো পারতেছে না এটা কেন বুঝেন না আপনারা
অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত দায়িত্বজ্ঞানিকভাবে কথা বলার জন্য
বর্তমানে যারা বিএসইসিতে কর্মকর্তা আছেন তারা পুরাতন চোর আমি মনে করি সবাইকে এক এক করে বিধায় করা প্রয়োজন ,এখানে নতুন লোক বসানো প্রয়োজন, কারণ তারা থাকলে ভবিষ্যতে শেয়ার বাজার আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারন বিনিয়োগকারিগন,এবং বর্তমান চেয়ারম্যান যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি মনে করি।
বর্তমান চেয়ারম্যান যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
চুরি করবেন ধরলে আন্দোলন করবেন সেটা তো হতে পারে না।
এই গর্দভ চেয়ারম্যান শুধু জানে punishment দিতে, কিন্তু এই লোকের বোঝা দরকার শেয়ার বাজার উন্নত করার জন্য প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন , যেমন: ভালো IPO আনার ব্যবস্থা গ্রহণ, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান যেমন ট্যাক্স কমানো ইত্যাদি, নিজ কর্মীদের কাজে লাগিয়ে শেয়ার বাজার কে ইমপ্রুভ করা, আপাতত ব্লক মার্কেটে লেনদেন বন্ধ করা, বিনিয়োগ কারীদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি ইত্যাদি।. অর্থ উপদেষ্টার ও দরকার এই ব্যাপারে সব ধরনের সাপোর্ট দেয়া। কিন্তু এই দুই বোকাচোদা সারাক্ষণ আছে পানিশমেন্ট দেওয়ার তালে বিভিন্ন কোম্পানিকে পানিশমেন্ট, নিজস্ব লোকবলকে পানিশমেন্ট, বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কে পানিশমেন্ট………এইভাবে কখনো শেয়ার বাজারের উন্নতি করা যাবে না। কোন শেয়ারের দাম বাড়লে সেই কোম্পানিকে কৈফিয়ত তলব করেন কিন্তু শেয়ারের দাম সমানে কমতেছে সেই ব্যাপারে তো কৈফিয়ত তলব করেন না……. কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থা নিতে চান এজন্য তারা কর্মবিরতি দিছে বুঝলাম কিন্তু বিনিয়োগকারীরা কেন মাঠে নামলো কারণ তারা নি:স্ব হয়ে অপারগ হয়ে আপনার পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামছে। কিন্তু অপদার্থ অর্থ উপদেষ্টা এটা বুঝতেছেনা…….
বিএসইসির কর্মকর্তাদের যাদেরকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সংগে দূর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে বা হবে পর্যায়ক্রমে সকলকে বহিষ্কার করতে হবে। যাদের দূর্নীতির কারনে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের কয়েকজন আত্মহত্যা করেছে এবং ৯৫% বিনিয়োগ কারী পূঁজি হারিয়ে নিঃস্ব জীবন কাটাচ্ছে। তারা জুলুমবাজদের শাস্তির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করছে। এমতাবস্থায় বিএসইসির চেয়ারম্যান মহোদয় তাদের ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তিনি সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি মনে করছি।
এই সব চোর কর্মকর্তা কর্মচারী থাকলে পুঁজিবাজার কখনোই ভালো হবে না। যাকেই চেয়ারম্যান বানানো হোক না কেন। সুতরাং এখনই এই সব চোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা উচিত
স্যার
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক কোন কিছু করেন, এই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আপনাদের স্যালুট জানাবে।
বিএসসির চেয়ারম্যান শেয়ার বাজার নিয়ে কাজগুলো করছে তাহা সঠিক সিদ্ধান্ত সাধারণ বিনিয়োগ কারীরা একমত পোষণ করেন এরা লুটপাট করে শেয়ার বাজার কে ধ্বংস করেছে এদের আইনে র আওতায় আনা হোক না হইলে শেয়ার বাজার ঠিক হবে না