আজ: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ইং, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

গাজায় বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া যুদ্ধাপরাধ : হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে এই অবরোধ জারি রেখেছে তারা।

আর ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহতভাবে বন্ধ করে দেওয়াকে “যুদ্ধাপরাধ” বলে আখ্যায়িত করে বুধবার নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের চলমান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং দেইর আল-বালাহ ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহের সীমিত লাইন সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন করাটা যুদ্ধাপরাধ যা তৃষ্ণার্ত মানুষের বিপর্যয়ের মুখে পতিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।”

হামাস বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ইসরায়েলের পানি ও খাদ্যকে ব্যবহার করছে এবং এটি আসলে “গাজার মানবিক বিপর্যয়কে আরও খারাপ করার একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার অংশ।”

একইসঙ্গে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার ওপর “অভূতপূর্ব সমন্বিত শাস্তি” আরোপের জন্যও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে অভিযুক্ত করেছে হামাস।

আনাদোলু বলছে, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের ওপর অবরোধ আরোপের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে গত রোববার ইসরায়েল গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরায়েলি এই পদক্ষেপকে “গণহত্যার সতর্কতা” হিসেবে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, বিদ্যুৎ ছাড়া পরিষ্কার পানি পাওয়া যাবে না। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করার ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পরে স্থানীয় এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের অনাহারের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়েও সতর্কতা জারি করেছে।

মঙ্গলবার গাজা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মুখপাত্র মোহাম্মদ থাবেত বলেন, গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে মাত্র পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। আর সম্প্রতি গাজার বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

হামাস বলেছে, ইসরায়েলের গাজা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির “গুরুতর লঙ্ঘন” এবং “আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন”।

এছাড়া জাতিসংঘ, মানবিক সংস্থা এবং আরব রাষ্ট্রগুলোকে “এই বর্বর অপরাধ বন্ধ করতে”, অবরোধ তুলে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের সামনে ইসরায়েলি নেতাদের জবাবদিহি করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.