আজ: সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ইং, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

‘দ্বিতীয় সারি’র নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসির সর্বশেষ তিন বৈশ্বিক ইভেন্টের সবকটিতেই হতাশা নিয়ে ফিরেছিল পাকিস্তান। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে তারা প্রাথমিক যাত্রার শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে। আইপিএলের কারণে নিউজিল্যান্ডের সিনিয়র ও তারকা ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই এই সিরিজ থেকে ছুটিতে। তাদের প্রায় দ্বিতীয় সারির দলের কাছেও টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার পর বোলিংয়েও পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। কিউইরা ১০.১ ওভারেই ৯ উইকেট হাতে রেখে ৯২ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছে।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই মূল কাজটা সেরে রেখেছিল কিউই বোলাররা। এরপর ছোট লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিকদের পক্ষে শুরুটা কিছুটা ধীরগতিতেই করেন ওপেনার টিম সেইফার্ট। তবে আউট হওয়ার আগে তিনি সেটি পুষিয়েও নিয়েছেন। সেইফার্ট ৪৪ রান করে আউট হলেও অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন ফিন অ্যালেন ও টিম রবিনসন। মাত্র ১০.১ ওভারেই ৯ উইকেটের বড় জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রানে ৩টি এবং ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সেই বিপর্যয় সামলাতে প্রয়োজন ছিল বড় জুটি এবং ঘুরে দাঁড়ানো কোনো ব্যক্তিগত ইনিংস। কিন্তু খুশদিল শাহ (৩২), সালমান আগা (১৮) ও জাহানদাদ খান (১৭) ছাড়া পাকিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। ফলে ১৮.৪ ওভারেই ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। যা কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় পুঁজি।

অবশ্য কিউই ফিল্ডাররা বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া না করলে সফরকারীদের সংগ্রহ আরও লজ্জার হতে পারত। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সালমান আগা-খুশদিল জুটি ৪৬ রানে তাদের সম্মান কিছুটা বাঁচিয়েছেন। সেই দুজনের ক্যাচই হাতছাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে নিয়ন্ত্রিত ও আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে পাকিস্তানকে খুব বেশি আগাতে দেননি জ্যাকব ডাফি ও কাইল জেমিসন। ডাফি সর্বোচ্চ ৪ এবং জেমিসন ৩ উইকেট শিকার করেছেন।

রান তাড়া করতে নেমে সেইফার্ট দেখেশুনে শুরু করেন। পরবর্তীতে আরেক ওপেনার অ্যালেনকে নিয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ৫৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের একমাত্র সান্ত্বনার উইকেট এনে দেন আবরার আহমেদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে সেইফার্ট ২৯ বলে ৪৪ রান করেন। ৩৯ রানের জুটি গড়ে এরপর জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেন-রবিনসন। অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ এবং রবিনসন করেন ১৮ রান।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.