আজ: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ইং, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার |

kidarkar

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন

শেয়ারবাজার ডেস্ক : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে সরকার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে এই আইনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আজকে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন- ২০০০ সালের বেশকিছু সংশোধন আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হলে আমাদের কেবিনের সেটা নীতিগত অনুমোদন দেয়। ইতোমধ্যে আমরা কিছু মতামত পেয়েছি। সেই মতামতগুলো কাল-পরশু যাচাই-বাছাই করব। বৃহস্পতিবার এই আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, ধর্ষণের বিচারের বিলম্ব হওয়ার কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএ ল্যাব না থাকা। এই মুহূর্তে একটি মাত্র ল্যাব আছে। আজকের সিদ্ধান্ত যে, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহীতে আরও দুইটা ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করব।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত কিছু সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে, যেন ধর্ষণসহ অন্যান্য মামলার বিচার ত্বরান্বিত করা যায়। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-উপদেষ্টাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মাজার ভাঙার নামে নৈরাজ্য চলছে। এতদিন মাজার ভাঙার বিষয়ে সরকার রিয়েক্টিভ অবস্থানে ছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দোষী ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি করানো হয়েছে। মাজার ভাঙার ব্যাপার সরকার আর কোনওভাবেই গ্রহণ করবে না। সবাইকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জড়িতদের ব্যাপারে কঠোর থেকে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ আইনের বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, শিশু ধর্ষণ মামলা আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে-সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ধর্ষণ একটা আলাদা অপরাধ। সম্মতি ব্যতীত যে ধর্ষণ সেটার বিচার ও তদন্তের সময় কমানো হয়েছে। যেকোনো ধর্ষণ হলে আমরা এই আইনের আওতায় আনছি। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অনেক মামলা বছরের পর বছর পরে থাকে।

তিনি আরও জানান, আমরা এই আইনে বিধান করেছি, ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে, মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক স্বার্থের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত বিচার করবে। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যদি গুরুতর আহত করা হয় সেটারও গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.