আজ: বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ইং, ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

সোনালী লাইফের শেয়ার লেনদেনে অনিয়ম, জরিমানা ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগে পাঁচজনকে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৪ মার্চ এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দণ্ডিতদের মধ্যে নূরজাহান বেগমকে ১ লক্ষ টাকা, মো. সাজিদুল হাসানকে ৭৫ লক্ষ টাকা, মো. সায়াদুর রহমানকে ১ লক্ষ টাকা, ফেরদৌসী বেগমকে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং মো. লুৎফুর রহমানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়াও, কমিশন সোনালী লাইফের শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে সতর্কতা পত্র জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তদন্তে ১৮ এপ্রিল থেকে ১১ জুন ২০২৩ পর্যন্ত সময়কাল অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ সময়ে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনকারীরা বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে।

তদন্তে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল সোনালী লাইফের শেয়ারের দাম ছিল ৬৪ টাকা। যা দুই মাসের মধ্যে ১১ জুন ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার অস্বাভাবাকিভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে আলোচ্য বিনিয়োগকারীরা জড়িত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কোম্পানিটির শেয়ার জেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম উদঘাটন করে। কোম্পানিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অনিয়ম এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২১ সালে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভূক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তার আগের বছর ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.