ছয় কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: সাকিব ও হিরুর শতকোটি টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং সরকারি কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু আবারও অর্থদণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এই দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অনিয়ম ও শেয়ার কারসাজির। শেযারবাজারে অংশ নেওয়া ছয়টি কোম্পানির তদন্ত শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অর্থদণ্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ১২টি বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বিএসইসি এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শতকোটি টাকা জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদুল ফিতরের পরে অর্থদণ্ডের বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে, যেন শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা, আইএফআইসি গ্র্যান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ, বেস্ট হোল্ডিংস, আল-আমিন কেমিক্যাল, ফরচুন সুজ এবং কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড।
জরিমানার কবলে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো- মো. আবুল খায়ের হিরো ১১ কোটি ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবর ৭ কোটি ২১ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসান ২৫ কোটি ২ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজ ১৯ কোটি ১ লাখ টাকা, কাজী ফরিদ হাসান ৩৫ লাখ টাকা, কাজী ফুয়াদ হাসান ৩৫ লাখ টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভ ৫ কোটি টাকা।
এছাড়া, মোহাম্মদ শামসুল আলমকে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ১ লাখ টাকা, সাজিয়া জেসমিনকে ৪৯ লাখ টাকা, সুলতানা পারভীনকে ১১ লাখ টাকা, এএএ এগ্রো এন্টারপ্রাইজকে ৭৫ লাখ টাকা, আরবিম টেকনোকে ২৩ লাখ টাকা ও মো. ফরিদ আহমেদকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, ফাইন ফুডস ও ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম কারসাজির অভিযোগে ১২ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের হিরু কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত।
আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে লোকসানে রয়েছে। বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালানোর জন্য কিছু শর্ত আরোপ করেছে এবং কোম্পানিটি এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের আগ্রহ প্রকাশ করলেও তা তালিকাভুক্ত হয়নি।
২০২২ সালে সাকিব আল হাসান এবং তার দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আল-আমিন কেমিক্যালের ৪৮ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের অনুমতি পায়। কোম্পানিটি ফরিদপুরের কানাইপুরে অবস্থিত এবং রাসায়নিক সার ও অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন করে।