মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

শেয়ারবাজার ডেস্ক : মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। ১৯ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট আবেদন করেন।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, শিশুটির বিষয়ে বিভিন্ন সময় যেসব বক্তব্য পাওয়া গেছে, তা অনেকটা সাংঘর্ষিক। সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
রিটে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশ ও রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শিশুুটর ডিএনএ টেস্ট ডাক্তারি প্রতিবেদনসহ সব বিষয়ে বিচারিক ইনক্যুয়ারি চাওয়া হয়েছে রিটে।
একই সঙ্গে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। রিট আবেদনে দেশব্যাপী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও রুলের আর্জি জানানো হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, যেহেতু সরকার আইন পরিবর্তন করে বিচারের সময় কমিয়ে আনবে (মামলা নিষ্পত্তির সময়) সংবিধানের ১১০ অনুযায়ী মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মাগুরা আদালত থেকে বদলি করে হাইকোর্টে আনার আর্জি জানানো হয়েছে ।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ( আইজিপি) ও মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিবাদী করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ রিট দায়েরের বিষয়টি সোমবার (২৪ মার্চ) জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে গত ছয় মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার ভালো না দেখে তখনি মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে আনা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে থেকে সেদিনই সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় আনা হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দুই দিন পর গত আট মার্চ তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচ-এ নেওয়া হয়। এরপর ১৩ মার্চ শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় শিশুটির।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুর একটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায়ই তার মরদেহ দাফনের জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে সরাসরি মাগুরায় নেওয়া হয়।
শিশুটির ওপর নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশব্যাপী।