আজ: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ইং, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

শেয়ারবাজারে ইতিবাচক সূচক, কিন্তু লেনদেনের পতন কি সংকেত?

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে আজ মঙ্গলবার সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে, তবে লেনদেনের পরিমাণে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ উভয় শেয়ারবাজারেই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা বাজারের শক্তিশালী অবস্থান নির্দেশ করছে, তবে লেনদেনের পতন বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের ইঙ্গিত হতে পারে।

ডিএসইর প্রধান সূচক আজ ১৭.৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৫,২১৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অন্য দুটি সূচক, ডিএসইস ১.৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে, এই ইতিবাচক সূচকের মধ্যে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল লেনদেনের পরিমাণের ব্যাপক পতন। আজকের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৫০৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কম। এই পতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো এক ধরনের অনিশ্চয়তা বা আস্থা সংকটের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তেও সূচকের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। সিএসইতে সূচক বৃদ্ধি পেয়ে সিএএসপিআই ১৮.৯০ পয়েন্ট বেড়ে ১৪,৫৫৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তবে, সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের সমান, তবে এটি আগের দিনের তুলনায় বেশি বেড়েছে।

ডিএসইতে ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, ৯৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে এবং ৮০টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে এবং ৩২টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

এদিনের বাজার পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা, বিশেষত ডিএসইর প্রধান সূচক ও অন্য সূচকগুলোর উত্থান, বাজারের শক্তিশালী অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। তবে, লেনদেনের পরিমাণে পতন বাজারের জন্য একটি বিপরীত সংকেত হতে পারে। লেনদেনের কমতির বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের প্রতিফলন হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে বাজারের স্থিতিশীলতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরও সতর্ক পদক্ষেপের প্রয়োজন। বাজারে আস্থার ঘাটতি এবং বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা বাজারের আরও পতন ঘটাতে পারে।

বাজারের পেশাদার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সূচকের বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে বাজারের সুস্থতা এবং শক্তির ইঙ্গিত দেয়, তবে লেনদেনের পতন একটি সংকেত হতে পারে যে, অনেক বিনিয়োগকারী বাজারে সীমিত পরিসরে পুঁজি প্রবাহিত করছে বা অপেক্ষা করছে। তাদের মতে, সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক পরিবেশও বাজারের আচরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

২ উত্তর “শেয়ারবাজারে ইতিবাচক সূচক, কিন্তু লেনদেনের পতন কি সংকেত?”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.