আইপিও অনুমোদনের ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব টাস্কফোর্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে শেয়ারবাজার সংস্কারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত টাস্কফোর্স।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনের মাল্টি পারপাস হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। তারা জানান, পুঁজিবাজার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে এবং গণমাধ্যমের কাছে এর অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। টাস্কফোর্সের সদস্যরা আরও বলেন, তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন, এবং বিএসইসি কমিশনের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসারউদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন এবং প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশে টাস্কফোর্স ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেবে এমন সব কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে সব ব্যাংককে নির্দেশনা প্রদানের সুপারিশও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে।
টাস্কফোর্সের সুপারিশে বলা হয়েছে, স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করেছে টাস্কফোর্স। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।
টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, পুঁজিবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না, এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয় তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না। আইপিও সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে এ বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে টাস্কফোর্স।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে টাস্কফোর্সের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন টাস্কফোর্সের সদস্য ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের সিইও মাজেদুর রহমান এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ সময় টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি বিএসইসির তিন কমিশনার এবং টাস্কফোর্সের ফোকাস গ্রুপের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।
আইপিও অনুমোদন বিএসইসি না ডিএসই দিবে এটা কোন সমাধান না। কারণ ২টির চরিত্র একই।মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। চরিত্র না পালটালে বানরের রুটি ভাগাভাগির মত অবস্থা হবে। কোং স্টক ডিভিডেন্ড দেয় বিএসইসি অনুমোদন দেয় না।খতি কার হলো। বিনিয়োগ কারীদের। বিনিয়োগ কারীদের খতি করার জন্য বিএসইসি, ডিএসই সৃষ্টি করা হয় নাই। যারা বিনিয়োগকারীদের সাথের বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। তা হলেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।