দশ কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি পেল ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানতে সরেজমিন পরিদর্শনের অনুমতি পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইকে এ অনুমতি দিয়েছে।
সম্প্রতি ডিএসই বিএসইসির কাছে এসব কোম্পানির প্রধান কার্যালয়, কারখানা ও অন্যান্য সম্পর্কিত স্থানে পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। সার্বিক বিবেচনায় বিএসইসি এ অনুমোদন দেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো: অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, কৃষিবিদ সিড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল পিএলসি, রিং সাইন টেক্সটাইল, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, বিচ হ্যাচারি, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ফু-ওয়াং সিরামিক লিমিটেড।
এসব কোম্পানির মধ্যে তিনটি কোম্পানি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। অন্যদিকে, বিচ হ্যাচারি ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ফার কেমিক্যাল, কৃষিবিদ সিড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, খান ব্রাদার্স, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ফু-ওয়াং সিরামিক দিয়েছে ০.১০ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ।
জানা গেছে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পালন করছে না। কেউ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা নির্ধারিত সময়ে বিতরণ করছে না, কেউবা দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। আবার কোনো কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা করছে না কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যথাসময়ে বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে না।
ডিএসই ২০২৩ সাল থেকেই দুর্বল কোম্পানিগুলোর সার্বিক অবস্থা যাচাইয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় এর আগেও ৫৪টি কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ৪ মার্চ ডিএসইর পরিদর্শন দল সরেজমিন গিয়ে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের কারখানা বন্ধ পায়। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত সাফকো স্পিনিংস মিলস লিমিটেডের কারখানাও বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের কারখানাও পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধ পান ডিএসইর কর্মকর্তারা। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল কোম্পানিগুলোর বাস্তব অবস্থা যাচাইয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের উদ্যোগ জোরদার করেছে ডিএসই।
ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, কোম্পানিগুলোর প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য সরেজমিন পরিদর্শন অত্যন্ত জরুরি। এতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও বাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।