আজ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

রাজস্ব ও মুদ্রানীতির মধ্যে সামঞ্জস্য চান আবদুল আউয়াল মিন্টু

শেয়ারবাজার ডেস্ক : এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমরা এমন একটি রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি চাই, যেটা সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য প্রযোজ্য। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির মধ্যে সামঞ্জস্য চাই।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একদিকে সুদের হার বৃদ্ধি করা হবে অন্যদিকে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হবে। এটা কোনো নীতি নয়। ব্যবসায়ীদের প্রতিটি বক্তব্য মূল্যবান, তা আমলে নিয়ে ব্যবসাসহায়ক নীতি করতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আহ্বান, সরকারকে মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আগে অনেক মিথ্যা কথা হয়েছে। উৎপাদন ৪০০ বিলিয়ন, ৫০০ বিলিয়ন ডলার। কাগজের খোঁচায় যদি উৎপাদন কমে ও বাড়ে তাহলে উৎপাদন বৃদ্ধি করার দরকার কি। কর জিডিপি অনুপাত নিয়ে একেক সময় একক তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে প্রথমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিথ্যা বলার জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে। এনবিআরের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, যারা কর দেয় তাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

যারা কর দেয় তাদের পেছনে না থেকে যারা দেয় না তাদের ধরার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, এখন থেকে ১৫ বছর আগে এফবিসিসিআই একটি জরিপ করেছিল, সেটা হলো এনবিআর ৮০ শতাংশ ব্যয় করে, যারা কর দেয় তাদের পেছনে। অন্যদিকে ২০ অন্যান্য জায়গায়। আমরা চাই যারা কর দেয় না তাদের পেছনে ৮০ শতাংশ ব্যয় করেন, তাদের ধরেন। আর যারা দেয়, তাদের পেছনে কম যান। তাহলে দেখবেন কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে কর জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭.৩০ শতাংশ বা তার ওপরে, এটাতে আমারও লজ্জা লাগে। যেখানে আমাদের জিডিপি ৪০০ বিলিয়ন ডলার। করদাতারা এনবিআরের কাছে যেতেই ভয় পায়।

সবচেয়ে বড় চুরি হয় ব্যয় করার সময়। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মুষ্টিমেয় ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করতে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে সবার প্রচেষ্টা লাগবে। আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে— বলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু।

অন্যদিকে ডিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান বলেন, সংস্কার কার্যক্রম হিসেবে অটোমেশন করতে হবে। এটা নিয়ে বারবার দাবি করে যাচ্ছি, আগামীতেও করব। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে এনবিআরই অটোমেশনের বিরোধিতা করছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মীর নাসির হোসেনসহ ব্যবসায়ীরা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.