বিনিয়োগকারীদের মনোবল টালমাটাল, সূচক ও লেনদেনে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেন উভয় ক্ষেত্রেই বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় গতির অভাবে পুঁজিবাজারে বিরাজ করছে স্থবিরতা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ৫,১৬৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
একইভাবে, অন্যান্য সূচকগুলোও পতন দেখেছে। ডিএসইএস সূচক ৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১,১৬৬ এবং ১,৯১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার, যা গত কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ১২৬ কোটি টাকা কম। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, এদিন মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, বিপরীতে ২৭০টি কোম্পানির দর কমেছে। ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি আস্থা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের মতো সংবেদনশীল খাতে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব অনেকাংশে নির্ভর করে নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা এবং ইতিবাচক বার্তার ওপর।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় বিনিয়োগ সম্মেলনে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো আলোকপাত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। যদিও কেউ সরাসরি সমালোচনা করছেন না, তবে অনেকেই মনে করছেন, মূলধনী বাজারের অন্তর্ভুক্তি ছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ কাঠামো গড়ে তোলা কঠিন।
অর্থনীতিবিদরাও মনে করছেন, বাজারকে সচল রাখতে হলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।