আজ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরমূলক ভাষানীতি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি “ট্রান্সফরমেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ পলিসিজ ফর লিঙ্গুইস্টিক অ্যান্ড কালচারাল ডায়ভারসিটি অ্যান্ড সোশাল জাস্টিস অ্যান্ড ইকুইটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেস এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। এই সেমিনারে অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষানীতি প্রণয়নের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

সেমিনারে বক্তারা এমন কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল চিহ্নিত করেন, যা দেশের সকল ভাষাগত স¤প্রদায়ের অধিকার রক্ষা, বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষা সংরক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে। এই উদ্যোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও আগ্রহ সৃষ্টি করা।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের জেনারেল এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রফেসর ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড থিওরির পরিচালক প্রফেসর সলিমুল্লাহ খান এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা। তারা দু’জনই ভাষানীতি ও চর্চায় রূপান্তরমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন, যা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি ও সুরক্ষা দিতে পারে।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান তার বক্তব্যে বলেন, উপনিবেশ-পরবর্তী মধ্যবিত্ত শ্রেণির ইংরেজিপ্রীতি আসলে এক ধরনের ‘মানসিক উপনিবেশ’-এর প্রতিফলন। এই প্রবণতা আমাদের নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দূরত্ব তৈরি করে। তার মতে, প্রকৃত স্বাধীনতা মানে হলো এই আত্মবিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তি, এবং নিজের পরিচয় ও সংস্কৃতিকে সচেতনভাবে ফিরিয়ে আনা।

অন্যদিকে, প্রফেসর মনসুর মুসা তার বক্তব্যে বাংলায় ঔপনিবেশিক যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভাষানীতির বিবর্তন তুলে ধরেন। তিনি আরো করেন যে, কীভাবে উপনিবেশ, স্বাধীনতা এবং বৈশ্বিকায়নের সময়েও ইংরেজি একটি শক্তিশালী প্রভাব ধরে রেখেছে। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিকভিত্তিক, বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া ভাষানীতি প্রণয়নের। তিনি বিশ্বব্যাপী ভাষানীতির কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ভাষানীতি নির্ধারণে পরামর্শক সংস্থা গঠন করা জরুরি, যা জাতীয় সংহতি ও ভাষাগত পরিপক্বতাকে এগিয়ে নেবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের ডিরেক্টর প্রফেসর শায়লা সুলতানা সেমিনারে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। যেখানে ভাষাগত অধিকার, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিনির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি বলেন, ভাষানীতিকে সত্যিকারভাবে বদলাতে হলে আমাদের উপনিবেশিক প্রভাব ছাড়তে হবে, পুঁজিবাদ ও পিতৃতন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে গুরুত্ব দিতে হবে, এবং এক ডিকলোনিয়াল বাস্তবতার প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে।

সেমিনারের শেষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা ১০টি ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এই পরিবেশনাগুলো ছিল দেশের বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য উদযাপন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরমূলক ভাষানীতি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি “ট্রান্সফরমেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ পলিসিজ ফর লিঙ্গুইস্টিক অ্যান্ড কালচারাল ডায়ভারসিটি অ্যান্ড সোশাল জাস্টিস অ্যান্ড ইকুইটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেস এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। এই সেমিনারে অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষানীতি প্রণয়নের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

সেমিনারে বক্তারা এমন কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল চিহ্নিত করেন, যা দেশের সকল ভাষাগত স¤প্রদায়ের অধিকার রক্ষা, বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষা সংরক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে। এই উদ্যোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও আগ্রহ সৃষ্টি করা।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের জেনারেল এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রফেসর ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড থিওরির পরিচালক প্রফেসর সলিমুল্লাহ খান এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা। তারা দু’জনই ভাষানীতি ও চর্চায় রূপান্তরমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন, যা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি ও সুরক্ষা দিতে পারে।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান তার বক্তব্যে বলেন, উপনিবেশ-পরবর্তী মধ্যবিত্ত শ্রেণির ইংরেজিপ্রীতি আসলে এক ধরনের ‘মানসিক উপনিবেশ’-এর প্রতিফলন। এই প্রবণতা আমাদের নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দূরত্ব তৈরি করে। তার মতে, প্রকৃত স্বাধীনতা মানে হলো এই আত্মবিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তি, এবং নিজের পরিচয় ও সংস্কৃতিকে সচেতনভাবে ফিরিয়ে আনা।

অন্যদিকে, প্রফেসর মনসুর মুসা তার বক্তব্যে বাংলায় ঔপনিবেশিক যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভাষানীতির বিবর্তন তুলে ধরেন। তিনি আরো করেন যে, কীভাবে উপনিবেশ, স্বাধীনতা এবং বৈশ্বিকায়নের সময়েও ইংরেজি একটি শক্তিশালী প্রভাব ধরে রেখেছে। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিকভিত্তিক, বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া ভাষানীতি প্রণয়নের। তিনি বিশ্বব্যাপী ভাষানীতির কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ভাষানীতি নির্ধারণে পরামর্শক সংস্থা গঠন করা জরুরি, যা জাতীয় সংহতি ও ভাষাগত পরিপক্বতাকে এগিয়ে নেবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের ডিরেক্টর প্রফেসর শায়লা সুলতানা সেমিনারে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। যেখানে ভাষাগত অধিকার, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিনির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি বলেন, ভাষানীতিকে সত্যিকারভাবে বদলাতে হলে আমাদের উপনিবেশিক প্রভাব ছাড়তে হবে, পুঁজিবাদ ও পিতৃতন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে গুরুত্ব দিতে হবে, এবং এক ডিকলোনিয়াল বাস্তবতার প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে।

সেমিনারের শেষে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা ১০টি ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এই পরিবেশনাগুলো ছিল দেশের বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য উদযাপন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.